বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শেষ বেসামরিকরাও গ্রামটি ছাড়বেন বলে প্রত্যাশা করছে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ)।
মার্কিন সমর্থিত এ বাহিনী কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরাক সীমান্তবর্তী বাঘৌজের চারপাশ ঘিরে রেখেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বেসামরিকরা বেরিয়ে এলেই গ্রামটির ভেতরে থাকা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অভিযান শুরু হবে।
রয়টার্স বলছে, ২০১৭ সাল থেকে সিরিয়া ও ইরাকে একের পর এক পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া আইএসের ‘শেষ দূর্গ’ এখন ইউফ্রেতিস উপত্যাকার বাঘৌজে।
বুধবার এ গ্রাম থেকে ২ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক বেরিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছে এসডিএফ। চলতি মাসের শুরু থেকে এ নিয়ে ২০ হাজারের বেশি লোক গ্রামটি ছাড়লেন।
বাঘৌজের পতন হলে সিরিয়ায় ৮ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ নতুন একটি পর্বে উন্নীত হবে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি সিরিয়া থেকে অবশিষ্ট মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে ওই অঞ্চলে যে নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হবে তা পূরণে অন্য বিশ্ব শক্তিগুলো আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে বলেও অনুমান অনেকের।
এসডিএফের গণমাধ্যম দপ্তরের প্রধান মুস্তাফা বালি জানান, বেসামরিকদের বাঘৌজ ছেড়ে যাওয়া শেষ হলেই তাদের বাহিনী গ্রামটিতে আক্রমণ শুরু করবে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বেসামরিকদের বাঘৌজ ত্যাগ সম্পন্ন হবে বলেও প্রত্যাশা তার।
ইউফ্রেতিসের উত্তর দিকে অবস্থিত গ্রামটিকে এসডিএফ যোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে।
বাঘৌজের ভেতর অবস্থিত আইএস যোদ্ধার সংখ্যা এবং গ্রামটির নিয়ন্ত্রণ নিতে কত সময় লাগতে পারে সে সম্বন্ধে কোনো ধারণা দেননি বালি।
গ্রামটির ভেতর ‘কয়েকশ অভিজ্ঞ’ আইএস জঙ্গি আছে বলে সপ্তাহ কয়েক আগে ধারণা দিয়েছিল এসডিএফ। ভেতরে থাকা জঙ্গিদের বেশিরভাগ বিদেশি বলেও অনুমান তাদের।