ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনায় ফের ব্রাসেলস যাচ্ছেন মে

ব্রিটিশ সাংসদদের সমর্থন পাওয়া যাবে, ব্রেক্সিট নিয়ে এমন একটি কার্যকর চুক্তিতে পৌঁছাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2019, 10:48 AM
Updated : 20 Feb 2019, 10:48 AM

আয়ারল্যান্ড সীমান্তে বিস্তৃত চেকিং নিয়ে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার দ্বিধাবিভক্তি কাটাতে ফের তিনি ইউরোপীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

আয়ারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের অন্তর্গত নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সীমান্তই এখন দুই পক্ষের একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রধান বাধা। 

ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লদ জাঙ্কারের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতেই বুধবার মে ব্রাসেলস যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

কয়েক বছরের ধারাবাহিক আলোচনার পর গত বছরের নভেম্বরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে ব্রেক্সিট নিয়ে বড় ধরনের একটি সমঝোতায় পৌঁছান।

যদিও ‘আইরিশ ব্যাকস্টপ’ নিয়ে সন্দেহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তার ওই সমঝোতা প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়।

সমঝোতায় পরিবর্তন আনতে মে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকদফা আলাপ আলোচনা করেও তাদের মন গলাতে পারেননি।

দুই পক্ষ কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে আগামী ২৯ মার্চ ‘চুক্তি ছাড়াই’ যুক্তরাজ্যকে ইউরোপের ২৮ দেশের জোট থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।

মে-র এবারের ব্রাসেলস সফর ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হয়ে উঠতে পারে বলে তার এক মুখপাত্র ধারণা দিয়েছেন।

যদিও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লদ জাঙ্কারের এক উপদেষ্টা বলেছেন, এবারের এ সফরেও খুব বেশি কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে না। 

“টেরিজা মের সাহস ও তার আগ্রাসী মনোভাবের প্রতি শ্রদ্ধা আছে আমার। কাল আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে, যদিও আমি কোনো ব্রেক থ্রুর আশা করছি না,” মঙ্গলবার জাঙ্কার এমনটিই বলেছেন বলে উপদেষ্টা জানিয়েছেন।  

সোমবার যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী স্টিফেন বার্কলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ারের সঙ্গে আলোচনায় নতুন কোনো প্রস্তাব হাজির করেননি বলেও বিবিসিকে বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।

“ইউরোপের ২৭ দেশ নতুন করে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে না, আমরা ব্যকস্টপ নিয়ে কোনো সময়সীমা বা একতরফাভাবে এ থেকে বেরিয়ে আসা বিষয়ক নতুন কোনো ধারা মেনে নেবো না। ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্যের ইইউ থেকে নিয়ম অনুযায়ী বেরিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের কথা শুনছি ও তাদের সঙ্গে কাজ করছি,” বলেছেন জাঙ্কারের মুখপাত্র মার্গারিতিস শিনাস।