ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা চ্যালেঞ্জ করে ১৬ রাজ্যের মামলা

মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তোলার তহবিল যোগাতে জরুরি অবস্থা জারির ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির ১৬টি অঙ্গরাজ্য।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2019, 06:35 AM
Updated : 19 Feb 2019, 06:40 AM

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ১৬ অঙ্গরাজ্য জোটবদ্ধ হয়ে সোমবার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব ক্যালিফোর্নিয়ায় এই মামলা করেছে। ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা জারির আদেশের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে মামলার আর্জিতে।

অবৈধ অভিবাসন রুখতে সীমান্তে ‘যে কোনো মূল্যে’ স্থায়ী বেড়া নির্মাণ ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এ কাজের জন্য তার চাহিদা অনুযায়ী ৫৭০ কোটি ডলার দিতে রাজি হচ্ছিল না মার্কিন কংগ্রেস।

এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসকে এড়িয়ে দেয়াল নির্মাণের অর্থ বরাদ্দের জন্য গত শুক্রবার জাতীয় জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর ফলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার নির্বাহী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে সামরিক খাতের নির্মাণ প্রকল্পের ৩৬০ কোটি ডলার, মাদকবিরোধী প্রকল্পের ২৫০ কোটি ডলার, এবং ট্রেজারি বিভাগের ৬০ কোটি ডলার দেয়াল নির্মাণে বরাদ্দ দিতে পারবেন। তার সঙ্গে কংগ্রেসের অনুমোদন করা ১৩৭ দশমিক ৫ কোটি ডলারের তহবিল যোগ হবে।

সব মিলিয়ে দেয়াল নির্মাণের জন্য ট্রাম্পের হাতে আসবে প্রায় ৮০০ কোটি ডলার। তবে সীমান্তের দুই হাজার মাইলজুড়ে দেয়াল নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয়  ২৩০০ কোটি ডলারের তুলনায় তা অনেক কম।

ট্রাম্পের জরুরি অবস্থা জারির সমালোচনা করে একে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ ও ‘বেআইনি সিদ্ধান্ত’ আখ্যায়িত করেছে বিরোধী দলে থাকা ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্পকে ঠেকাতে সম্ভব সব কিছু করার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।

এর তিন দিনের মাথায় ১৬ রাজ্যের পক্ষ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতে এই মামলা করা হল।

রয়টার্স জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার নেতৃত্বে কলোরাডো, কানেটিকাট, ডেলাওয়ার, হাওয়াই, ইলিনয়, মেইন, মেরিল্যান্ড, মিনেসোটা, নেভাডা, নিউ জার্সি, নিউ মেক্সিকো, নিউ ইয়র্ক, ওরিগন, ভার্জিনিয়া ও মিশিগান রয়েছে এ মামলার বাদীপক্ষে।

এই রাজ্যগুলোর মধ্যে ম্যারিল্যান্ডের গভর্নর ল্যারি হোগান রিপাবলিকান পার্টির নেতা। বাকি গভর্নররা সবাই ডেমোক্রেটিক পার্টির।

ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হ্যাভিয়ার বেসেরা বলেন, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার ‘অপব্যবহার’ ঠেকাতেই তারা ট্রাম্পকে আদালতে নিচ্ছেন।

“কংগ্রেসকে এড়িয়ে একক সিদ্ধান্তে তিনি যেভাবে করদাতাদের টাকা লুটে নিতে চাইছেন, তা বন্ধ করতেই আমরা আমাদের রাজ্যের মানুষের পক্ষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, প্রেসিডেন্টের দপ্তর কোনো রঙ্গমঞ্চ নয়।”