ব্রিটিশ রাজ পরিবারে অশান্তি, আলাদা হচ্ছে দুই প্রিন্সের সংসার

ব্রিটিশ রাজপরিবারে শোনা যাচ্ছে ভাঙনের সুর। প্রিন্স উইলিয়াম এবং হ্যারি খুব শিগগিরই আলাদা হয়ে যাচ্ছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা হতে চলেছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য সান’ পত্রিকা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2019, 03:21 PM
Updated : 19 Feb 2019, 11:15 AM

দুই ভাইয়ের রাজকীয় কার্যালয়, বিশেষ মিডিয়া পরামর্শদাতা টিম এবং স্টাফ সবকিছুই আলাদা হয়ে যাবে। সেইসঙ্গে উইলিয়ামকে ছেড়ে কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে দূরে আলাদা সংসার পাতবেন প্রিন্স হ্যারি।

হ্যারি এবং মেগান মার্কল দম্পতির সন্তান হওয়ার আগেই তা ঘটবে বলে খবরে জানানো হয়েছে। ডিউক অব কেমব্রিজ প্রিন্স উইলিয়াম এবং ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ১০ বছর ধরে কেনসিংটন প্যালেসে একইসঙ্গে থাকছিলেন। কিন্তু বলা হচ্ছে, তাদের বিয়ের পর সংসারসহ বাড়তি দায়-দায়িত্বের বোঝা সামলাতে তারা এখন আলাদা হচ্ছেন।

তবে এ আলাদা হওয়ার পেছনে দুই ভাইয়ের ঝগড়া এবং তাদের স্ত্রীদের মধ্যে রেষারেষির কারণটাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। বিশেষ করে উইলিয়ামের স্ত্রী কেট মিডলটন এবং হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কলের সম্পর্কে চিড় ধরার অনেক খবরই এর আগে বেরিয়েছে।

দু’জনের মধ্যে এই ঝামেলা নিয়ে গুঞ্জনের মাঝেই উইলিয়াম এবং হ্যারির আলাদা হওয়ার এ খবর এল। এতে রাজপরিবারের মধ্যে দুই বউয়ের ঝগড়া হয়ত চরম আকার ধারণ করেছে- এমনটিই বলা হচ্ছে বিভিন্ন খবরে। যদিও রাজপরিবার সূত্রে এমন কোনো কারণের কথা বলা হচ্ছে না, তবুও সবার ধারণা পর্দার আড়ালে নিশ্চিতই এমন কিছু ঘটেছে।

সম্প্রতি একটি দৈনিকে বলা হয়, মেগান বিয়ের পর তার ব্রাইডসমেডদের পোশাক নিয়ে আপত্তি করে এর জন্য  উইলিয়াম-পত্নী কেট কে দায়ী করেছিলেন। তবে দুইজনের এমন বিবাদই কেবল নয় বরং মেগানকে নিয়ে রাজপরিবারে তার পরামর্শদাতারাও হতাশ এবং বিপাকে আছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে মিডিয়া পরামর্শদাতাদের না জানিয়েই কোনো কাজ করে তাদের বিপাকে ফেলার মত ঘটনাও ঘটিয়েছেন মেগান। তাই সব দিক বিচারে আলাদা হওয়াটা পারিবারিক এসব ঝামেলা এড়ানোর চেষ্টা বলেও জল্পনা রয়েছে।

দুই ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ একজন অবশ্য বলেছেন, তাদের এখন আলাদা পরিবার আছে। তারা একে অপরের ওপর নির্ভর করেন না। জীবন নিয়ে দুজনের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। তাই তারা এখন তাদের সব কাজই আলাদাভাবে করতে চাইছেন। এ প্রক্রিয়ায় প্রথমেই প্রিন্স উইলিয়াম এবং হ্যারির মিডিয়া টিম আলাদা হবে। যেটি এতদিন যৌথ টিম ছিল।

গতবছর মে মাসে হ্যারির বিয়ের আগে থেকেই দুই ভাইয়ের আলাদা হওয়ার পরিকল্পনা চলছিল বলেও ‘দ্য সানডে টাইমস’কে জানান তিনি।

এখন শিগগিরি কেনসিংটন প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে উইন্ডসর এস্টেটের ফ্রগমোর কটেজে যাবেন হ্যারি-মেগান। তবে তাদের কার্যালয়গুলো কেনসিংট প্রাসাদেই থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুই ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ ওই সূত্রের মতে, উইলিয়াম প্রিন্স অব ওয়েলস হলে তার ওপর বাড়তি অনেক দায় দায়িত্ব আসবে। হ্যারি এবং মেগানের সেসব দায়িত্ব নিতে হবে না। তাই এ জুটি এখন তাদের নিজেদের পথেই হাঁটতে চাইছে।

কেনসিংটন প্রাদাস অবশ্য এখনো কোনো খবরের বিষয়েই কোনো মন্তব্য করেনি। যদিও গত নভেম্বরে প্রাসাদ থেকে এক ঘোষণায় জানানো হয়েছিল, হ্যারি এবং মেগান কেনসিংটন প্যালেসের নটিংহাম কটেজ ছাড়তে পারেন।