রোববারের এ বিনিয়োগ চুক্তি প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওই দিনই ইসলামাবাদে পৌঁছানোর মধ্য দিয়ে সৌদি যুবরাজ তার দক্ষিণ এশিয়া ও চীন সফর শুরু করেন।
যুবরাজ মোহাম্মদ জানিয়েছেন, ২০ বিলিয়ন ডলার অঙ্কটির মাধ্যমে শুধুমাত্র একটি অথনৈতিক সম্পর্কের শুরু প্রতিফলিত হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক মিত্রতা আরও গভীর হবে।
“প্রথম ধাপের জন্য এই বিনিয়োগ বড়, আর নিশ্চিতভাবেই এটি প্রতি মাসে ও প্রতি বছরে বাড়তে থাকবে এবং এতে উভয় দেশই লাভবান হবে,” বলেছেন তিনি।
“আমরা পাকিস্তানের ভাইয়ের মতো, বন্ধুর মতো। ভাল সময় থেকে শুরু করে কঠিন সময়েও আমরা একসঙ্গে চলেছি এবং চলবো।”
এর পাশাপাশি খনি ও কৃষিতে বিনিয়োগের বিষয়েও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
রোববার সৌদি যুবরাজকে বহনকারী উড়োজাহাজ পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশের পর দেশটির বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো ওই উড়োজাহাজটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে আসে।
পাকিস্তানের সেনাশহর রাওয়ালপিন্ডির একটি সামরিক বিমানবন্দরে যুবরাজকে বহনকারী উড়োজাহাজটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে লাল গালিচা সম্বর্ধনা দিয়ে তাকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান ও সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া।
এখান থেকে নিজে গাড়ি চালিয়ে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদকে রাজধানী ইসলামাবাদে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী ইমরান।
এর কিছুক্ষণ পর মোহাম্মদের পাশে উপবিষ্ট ইমরান বলেন, “প্রয়োজনের সময় সৌদি আরব সমসময়ই বন্ধুর মতো পাশে থেকেছে, তাই এই বন্ধুত্বকে আমরা এত মূল্য দেই। আমাদের দুঃসময়ে যেভাবে আপনারা আমাদের সাহায্য করলেন তার জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি।”
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সৌদি সহায়তাই সংকটে থাকা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ধরে রেখেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে ‘বেইল আউট’ নিয়ে ইসলামাবাদের মধ্যস্থতা চলছে। এর মধ্যে রিয়াদের ৬০০ কোটি ডলার ঋণ ইসলামাবাদকে খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে বলে খবর।