ভেনেজুয়েলার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন দূতের ‘গোপন সাক্ষাৎ’

বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সরাসরি যোগাযোগ বিদ্যমান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2019, 06:10 AM
Updated : 15 Feb 2019, 06:10 AM

মাদুরো প্রশাসনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জর্জ আরিয়েজার সঙ্গে ভেনেজুয়েলা বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত এলিয়ট আব্রামের অন্তত দুই দফা কয়েক ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

নিউ ইয়র্কে ‘কঠোর গোপনীয়তার’ মধ্যে এ বৈঠকগুলো হয় বলে বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো এবং দেশটির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাও বৈঠকগুলোর কথা স্বীকার করেছেন। এসব বৈঠকে আরিয়েজা মার্কিন দূতকে ‘ব্যক্তিগতভাবে, সরকারিভাবে কিংবা গোপনে’ ভেনেজুয়েলা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

“যদি আব্রাম দেখা করতে চান, তাহলে আমাকে কেবল বলুন কখন, কোথায় এবং কীভাবে সেখানে পৌঁছাতে হবে,” সাক্ষাৎকারে বলেছেন গত বছরের আগাম নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় বসা মাদুরো।

ওই নির্বাচনকে ‘কলঙ্কিত, অবৈধ’ অ্যাখ্যা দিয়ে জানুয়ারির শেষদিকে সংবিধানের একটি ধারা মোতাবেক নিজেকে ‘ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি’ ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। তাৎক্ষণিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি তাকে স্বীকৃতি দেয়।

মাদুরো বলছেন, গুইদো ওয়াশিংটনের মদদে ভেনেজুয়েলার নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতে ষড়যন্ত্র করছেন। ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের জন্য পাঠানো আন্তর্জাতিক সাহায্যের চালানও আটকে দিয়েছেন তিনি।

পশ্চিমাদের সমালোচনা সত্বেও রাশিয়া, চীনসহ প্রভাবশালী অনেক দেশের সমর্থন এবং সেনাবাহিনীসহ ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সকল প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ক্ষমতায় বহাল তবিয়তেই টিকে রয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ঘরানার এ নেতা।

আব্রাম ও আরিয়েজার সর্বশেষ বৈঠকটি গত সপ্তাহের সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভেনেজুয়েলার এক নেতা।

ভেনেজুয়েলার সংকট নিরসনে ট্রাম্প প্রশাসনের নিয়োগ করা দূত আব্রাম এর আগে গত ৭ ফেব্রয়ারি বলেছিলেন, মাদুরোর সঙ্গে সংলাপের সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।

“এখন কেবল তার চলে যাওয়া নিয়েই আলাপ হতে পারে,” বলেছিলেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অন্য দেশের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে মত বিনিময় করবেনই, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। বিশেষ করে যখন আমরা আমাদের দূতাবাস কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে সব ধরনের পদক্ষেপের কথা ভাববো।”

যুক্তরাষ্ট্র মাদুরো প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারেও আগ্রহী বলে ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

“এমনকী মাদুরোর সঙ্গেও, তবে আমরা কেবল তাদের বিদায়ের পরিকল্পনা নিয়েই কথা বলবো,” বলেছেন তিনি।