মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় বাজেট বিলে স্বাক্ষর করা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের কাছে ট্রাম্প কংগ্রেস সদস্যদের চুক্তি নিয়ে তার অসন্তুষ্টির কথা জানান বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে চলতি বছরই ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দ চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ডেমোক্রেটরা দাবি অগ্রাহ্য করলে ট্রাম্প গত বছরের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকারের এক চতুর্থাংশ বিভাগ ও সংস্থার ব্যয় নির্বাহের বাজেট বিলে স্বাক্ষর করেননি।
দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে টানা ৩৫দিন প্রায় ৮ লাখ মার্কিন সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতনহীন অবস্থায় দিন কাটান।
জানুয়ারির শেষ দিকে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে ‘আপাত সমঝোতায়’ তিন সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বন্ধ থাকা বিভাগ ও সংস্থাগুলো খুলে দেওয়া হয়।
সরকারের সব বিভাগ ও সেবা চালু রাখতে নতুন বাজেট পাসে কংগ্রেসের হাতে শুক্রবার পর্যন্ত সময় আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
অচলাবস্থা এড়াতে ধারাবাহিক আলোচনার পর সোমবার রাতে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খরচের নতুন একটি বাজেট বিল নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছান।
এ বিলে মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তাবেষ্টনীর জন্য ১৩৭ কোটি ডলার দেয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের কাছে যাওয়ার আগে কংগ্রেসের দুই কক্ষেই বিলটি পাস হতে হবে। ট্রাম্প বিলে স্বাক্ষর না করলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারকে ফের অচলাবস্থায় পড়তে হবে।
“আমাকে পড়ে দেখতে হবে। আমি খুশি নই,” বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প ‘অখুশি’ হলেও বেশিরভাগ রিপাবলিকান সাংসদ সমঝোতার বাজেট বিলে প্রেসিডেন্টকে স্বাক্ষর করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য বলেছেন, তিনি নতুন করে অচলাবস্থা চান না। দেয়াল নির্মাণের জন্য কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে বেশি আগ্রহের কথাও লুকোননি তিনি।
এ নিয়ে রিপাবলিকান সিনেটর রিচার্ড শেলবির সঙ্গে আলাপ আলোচনার একটি ছবিও টুইটারে পোস্ট করেছেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, বাজেট বিলে স্বাক্ষর করার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট অন্য খাতে দেওয়া বরাদ্দ দেয়াল নির্মাণে স্থানান্তর করা যায় কিনা তাও বিবেচনা করে দেখছেন।
এ ধরনের কিছু করতে হলেও তাকে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে।
ট্রাম্পের মতো রিপাবলিকানদের রক্ষণশীল অংশও চুক্তি নিয়ে ‘নাখোশ’।
“সত্যিকার অর্থে বেশিরভাগ রক্ষণশীল সদস্যই মর্মাহত। বলে দিতে পারি, আপনি ক্যাপিটল হিলের চারপাশে হেঁটে বেড়ানো ডেমোক্রেটদের মুখে হাসি দেখতে পাবেন, রিপাবলিকানদের নয়,” ফক্স নিউজকে এমনটাই বলেছেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মার্ক মিডোস।
যদিও তার দলের বেশিরভাগ আইনপ্রণেতাই ট্রাম্পকে আপাতত ‘ছাড় দেয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
“তিনি (চুক্তিতে) স্বাক্ষর করবেন বলেই আশা করছি,” বলেছেন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের নেতা মিচ ম্যাককনেল ও প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকক্যার্থি।