নির্বাচনের প্রার্থীতা বাতিলে ‘দুঃখ পেয়েছেন’ থাই রাজকুমারি

আগামী মাসের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে তার প্রার্থীতা নিয়ে যা ঘটেছে, সেজন্য ‘দুঃখ পেয়েছেন’ বলে জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের রাজকুমারি উবোরাতানা রাজকন্যায়া সিরিভাধানা বার্নাভাদি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2019, 09:52 AM
Updated : 13 Feb 2019, 09:52 AM

রাজকুমারি উবোরাতানা বলেছেন, তার প্রার্থীতা যে সমস্যার সৃষ্টি করেছে ‘এখনকার দিনে ও সময়ে তা হওয়া মোটেও উচিত নয়’।

সোমবার থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন দেশটির রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নের বড় বোন রাজকুমারি উবোরাতানাকে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

নির্বাচনে তার প্রার্থীতা ঘোষণা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিকে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিয়েছিল। রীতি অনুযায়ী থাই রাজপরিবারের সদস্যরা জনসমক্ষে রাজনীতি বিষয়ে কোনো ধরনের অবস্থান জানান না।

বোনের প্রার্থীতার খবরে আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজা ভাজিরালংকর্ন; উবোরাতানার পদক্ষেপকে ‘একেবারেই অনুচিত’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

রাজপ্রাসাদের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতেও রাজার বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি মেলে।

“রাজপরিবারের উচ্চপদস্থ কারও রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া একেবারেই উচিত নয়,” বলা হয়েছিল ওই বিবৃতিতে।

এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন রাজকুমারির প্রার্থীতা বাতিলের খবর দেয়।

“রাজনীতির উর্ধ্বে ও নিরপেক্ষ থাকার বিষয়ে রাজপরিবারের সবার জন্য যেহেতু একই নিয়ম, সে কারণেই রাজকুমারিকে যোগ্য প্রার্থী তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে,” ভাষ্য তাদের।

এর প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘দুঃখ পাওয়ার’ কথা জানান ৬৭ বছর বয়সী উবোরাতানা।

“দেশের জন্য ও আমাদের থাইদের জন্য কাজ করার প্রবল ইচ্ছা থাকার পরও যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তাতে দুঃখ পেয়েছি আমি। এখনকার দিন ও সময়ে এ ধরনের সমস্যা হওয়া উচিত নয়,” ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া পোস্টে রাজকুমারি এমনটাই বলেছেন।

পোস্টের সঙ্গে তিনি অনিন্দ্য সুন্দর একটি বাগানের ছবি ও ‘হাউ কাম ইটস দ্য ওয়ে ইট ইজ’ লেখা হ্যাশট্যাগও জুড়ে দিয়েছেন, জানিয়েছে বিবিসি।

উবোরাতানা নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ‘থাই রকসা চার্ট পার্টি’র পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন।

২৪ মার্চের নির্বাচনে এ দল এবং এর মিত্রদের সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার সেনা সমর্থিত ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর পিস অ্যান্ড অর্ডারের (এনসিপিও) মূল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে প্রায়ুথ ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডের ক্ষমতায় বসেছিলেন। তাকে সরাতে রাজকুমারিকে প্রার্থী করে চমক দেখাতে গিয়ে এখন উল্টো নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির মুখে পড়েছে ‘থাই রকসা চার্ট পার্টি’।

রাজপরিবারের সদস্যকে প্রার্থী করায় দলটিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়েও নির্বাচন কমিশন ভেবে দেখছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

‘থাই রকসা চার্ট পার্টি’র নেতা প্রিচাপল পংপানিত বলেছেন, তারা যা করেছেন তার পেছনে ‘সৎ ও ভাল উদ্দেশ্যই ছিল’।

“সবার উপরে রাজা ও রাজতন্ত্র। তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত আমরা,” বলেছেন তিনি।