বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মাদুরো বলেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় মানবিক ত্রাণ ঢুকতে দেবেন না। কারণ, ত্রাণ পাঠানো একটি রাজনৈতিক চাল। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পথ খুলে যাবে। ভেনেজুয়েলা দখল করার জন্য তারা যুদ্ধ উস্কে দিচ্ছে বলে মাদুরো মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার ভেনেজুয়েলার স্বঘোষিত অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে সমর্থন দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট মাদুরো ঘরে-বাইরে দুদিক থেকেই আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেওয়ার চাপের মুখে আছেন।
ট্রাম্প এর আগে ভেনেজুয়েলায় সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিকল্প পথ হাতে আছে বলার পর দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। ভেনেজুয়েলা কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করে।
গুইদো নিজেকে ভেনেজুয়েলার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পর ট্রাম্প প্রশাসনই প্রথম তাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং মাদুরোর গতবছরের পুনর্নির্বাচনকে অবৈধ আখ্যা দিয়েছিল।
সাক্ষাৎকারে মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ করেন এবং হোয়াইট হাউসের এই চরমপন্থি চক্রের পতন কামনা করেন।
ভেনেজুয়েলায় ‘ত্রাণ পাঠানোর’ মতো সংকট দেখা দেয়নি দাবি করে মাদুরো বলেছেন,বিদেশি মানবিক ত্রাণের উদ্যোগ একটা ভণিতা। তাদের উচ্ছিষ্ট,বিষাক্ত খাবার আমাদের চাই না।
কিন্তু মাদুরো একথা বললেও বাস্তব চিত্র ভিন্ন। অর্থনৈতিক এবং মানবিক সংকটে জর্জরিত ভেনেজুয়েলা।পরিস্থিতির অবনতিতে দলে দলে মানুষ ভেনেজুয়েলা ছাড়ছে।
তবে ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেন,ভেনেজুয়েলায় মানবিক সংকট সৃষ্টি করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। যাতে তারা দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে।