জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে রোববার এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টোর ওরবান। তিনি বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ অভিবাসীদের উপর নির্ভরশীল হওয়া ঠেকাতে এটিই উপায়।”
ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী এ নেতা বরাবরই মুসলিম অভিবাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছেন বলে জানায় বিবিসি।
নিম্নগতির জন্মহারের কারণে প্রতি বছর হাঙ্গেরির মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার করে কমে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে হাঙ্গেরিতে সন্তান জন্মের হার সবচেয়ে কম।
হাঙ্গেরিতে নারী প্রতি শিশু জন্মের হার ১ দশমিক ৪৫ জন। যেখানে ইউরোপে গড়ে নারী প্রতি শিশু জন্মের হার ১ দশমিক ৫৪ জন। যে কারণে সরকার জনগণকে সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করতে নানা সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
যার অংশ হিসেবে তরুণ দম্পতিদের বিনা সুদে এক কোটি ফোরিন্ট (৩৬ হাজার মার্কিন ডলার) ঋণ দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং যখন তারা তিন সন্তানের জন্ম দেবে তখন তাদের আর ওই ঋণ পরিশোধ করতে হবে না।
ওরবান বলেন, “পশ্চিমাদের জন্য” ইউরোপে জন্মহার কমছে কেন- এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে অভিবাসন: “একটি শিশু কম জন্মালে সেখানে আরেকটি শিশুকে নিয়ে এলেই সব মিলিয়ে জনসংখ্যা ঠিক থাকবে।”
“কিন্তু হাঙ্গেরির মানুষ ভিন্নভাবে চিন্তা করে। আমাদের সংখ্যার প্রয়োজন নেই। আমাদের হাঙ্গেরীয় শিশু চাই।” তিনি ‘হাঙ্গেরি দীর্ঘজীবি হোক, হাঙ্গেরীয়রা দীর্ঘজীবি হোক’ বলে ভাষণ শেষ করেন।
জন্মহার বাড়াতে সরকার আরো যেসব সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেগুলো হল:
# আগামী তিন বছরের মধ্যে শিশুদের জন্য ২১ হাজার নার্সারি তৈরি করা।
# দেশের স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের আর বাড়তি ২৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করা।
# বাড়ি নির্মাণে ভতুর্কি
# যে পরিবার সাত আসনের গাড়ি কিনবে তাদের সরকার থেকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।