ইয়েমেনের হোদেইদাহে গুদামজাত খাদ্যশস্য ‘পচনের ঝুঁকিতে’

ইয়েমেনের বন্দর শহর হোদেইদাহের লোহিত সাগর তীরবর্তী মিলগুলোতে গুদামজাত করা ৫১ হাজার টন গম ‘পচনের ঝুঁকিতে’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Feb 2019, 09:56 AM
Updated : 11 Feb 2019, 09:56 AM

ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের এই খাদ্যশস্য দিয়ে ৩৭ লাখ লোককে এক মাস খাওয়ানো যাবে বলে সোমবার মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের ইয়েমেন বিষয়ক বিশেষ দূত মার্টিন গ্রিফিথস, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধের কারণে ওই খাদ্যশস্যগুলো গুদামে আটকা পড়ে আছে এবং পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সেখানে প্রবেশ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রায় চার বছর ধরে চলা ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার লোক নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের কারণে অর্থনীতি ভেঙে পড়ায় লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের প্রান্তে অবস্থান করছেন।

২০১৪ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দরাব্বু মনসুর হাদিকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করে ইরান সমর্থিত শিয়া হুতি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করে নেওয়ার পর গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আশ্রয় নেওয়া সুন্নি হাদিকে ফের ক্ষমতায় বসাতে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব সামরিক জোট। যুদ্ধে বহু বেসামরিক নিহত ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরও সুবিধা করতে পারেনি সৌদি জোট। 

ডিসেম্বরে সুইডেনে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় ইয়েমেনের যুদ্ধরত পক্ষগুলো অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়। এই অস্ত্রবিরতি পুরোপুরি কার্যকর করতে ও শর্তানুযায়ী হোদেইদাহ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করতে দুপক্ষকের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ।

এই বন্দরটিই ইয়েমেনের আমদানিকৃত অধিকাংশ পণ্য ঢোকার প্রধান পথ। এই বন্দরের গুদামগুলোতে মজুত খাদ্যশস্য ও গম ভাঙ্গানোর যন্ত্রগুলোর নাগাল পাওয়া চলমান শান্তি আলোচনার অন্যতম প্রধান লক্ষ।

গত সপ্তাহে যুদ্ধরত পক্ষগুলোর আলোচনায় হোদেইদাহ থেকে কীভাবে সৈন্য সরিয়ে নেওয়া হবে সে বিষয়ে ‘প্রাথমিক সমঝোতা’ হয়েছে কিন্তু চূড়ান্ত সমঝোতা বাকি রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।    

গ্রিফিথ জানিয়েছেন, ওই মিলগুলোতে প্রবেশ করার একটি পথ বের করতে আলোচনায় অংশ নেওয়া সব পক্ষগুলোকে উৎসাহিত করেছেন তিনি।

গ্রিফিথ ও জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্ক লোকক এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইয়েমেনজুড়ে দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা প্রায় এক কোটি ২০ লাখ লোককে জরুরি খাদ্য সহায়তা দিতে জাতিসংঘ তাদের অভিযানের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।