শনিবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতের পর এয়ার নিউ জিল্যান্ডের ফ্লাইট এনজেড২৮৯ প্রায় ২৭০ জন যাত্রী নিয়ে সাংহাইয়ের উদ্দেশ্যে অকল্যান্ড থেকে রওনা হয়েছিল। বেশ কয়েক ঘণ্টা ওড়ার পর রোববার সকাল ১০টার দিকে উড়োজাহাজটি ফের অকল্যান্ডে অবতরণ করে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“এই উড়োজাহাজটির চীনে অবতরণের ক্ষেত্রে চীনা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছিল না ,” পরে জানিয়েছে এয়ার নিউ জিল্যান্ড।
মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনার পর যাত্রীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে নিউ জিল্যান্ডের এ ক্যারিয়ারটি। বিশেষ ব্যবস্থায় রোববার রাত ১১টার দিকে যাত্রীদের সাংহাই নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানিয়েছে তারা।
“আমরা জানি গ্রাহকরা এ পরিস্থিতিতে খুবই হতাশ ও মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন; তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটায় আমরা অত্যন্ত দুঃখিত,” বলেছে এয়ার নিউ জিল্যান্ড।
রয়টার্স এ প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। দেশটির বেসামরিক বিমান প্রশাসনকে ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফ্লাইট এনজেড২৮৯ এর ক্ষুব্ধ যাত্রীদের মন্তব্য পাওয়া গেছে।
ফ্লাইট ম্যাপে পাপুয়া নিউ গিনির আকাশ থেকে বিমানটিকে ফের অকল্যান্ডে ফিরিয়ে আনার একটি ছবি টুইটারে দিয়েছেন এক যাত্রী।
“অকল্যান্ড থেকে সাংহাই যাওয়ার মাঝপথেই চীনের অন্য মাত্রার একটি বাজে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হলাম। বিমানচালক আমাদের বলেছেন, বিমানটিকে অবতরণের অনুমতি দিচ্ছে না চীনা কর্তৃপক্ষ, যে কারণে আমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। অনুমতি সংক্রান্ত ইস্যু বলেই মনে হচ্ছে,” বলেছেন তিনি।
চীনগামী এনজেড২৮৯ ফ্লাইটকে গত বছরের ২৪ অগাস্টও মাঝ আকাশ থেকেই অকল্যান্ডে ফিরতে হয়েছিল। সেবার অবশ্য অনুমতি সংক্রান্ত বিষয় ছিল না, ছিল যান্ত্রিক গোলযোগ, জানিয়েছিলেন এয়ারলাইন্সটির এক মুখপাত্র।