মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য সংগ্রহের সময় গ্রেপ্তার রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) এবং কিয়াও সো ও(২৮)কে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছর সেপ্টেম্বরে তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত।
বরাবরই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসা দুই সাংবাদিক মামলার বিচারের সময় আদালতকে বলেছিলেন, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর ইয়াংগনের এক রেস্তোরাঁয় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে দুই পুলিশ সদস্য তাদের হাতে কিছু মোড়ানো কাগজ ধরিয়ে দেন এবং তার পরপরই সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রায়টার্স জানায়, গ্রেপ্তার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন ক্যাপ্টেন মো ইয়ান নাইং।
তিনি আদালতে দুই সাংবাদিককে ধরতে পুলিশ ওই ঘটনা সাজিয়েছিল বলে সাক্ষ্য দেন।
গত বছর এপ্রিলে আদালতে রয়টার্স সাংবাদিকদের পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার পরপরই ইয়ান নাইংকে ‘পুলিশ ডিসিপ্লিনারি অ্যাক্ট’ লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইয়ান নাইংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি অতীতে ওয়া লনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছিলেন।
পুলিশ আদালতে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ইয়ান নাইংয়ের বিচার করে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
কারাদণ্ড ছাড়াও রাজধানীর পুলিশ কোয়ার্টার থেকে ইয়ান নাইংয়ের পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।
সাজা ভোগ শেষে ইয়াংগনের ‘ইনসেইন’ কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে ইয়ান নাইং সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা যখন গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে শুরু করবো তখন যেসব আইন সংশোধন করতে হবে তার মধ্যেই অবশ্যই এই পুলিশ ডিসিপ্লিনারি আইন একটি।
“বর্তমান যুগের সঙ্গে এই আইন অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় পুলিশ সদস্যদের অনেক বেশি ভুগতে হয়।”
এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা হলেও ভালো আচরণের কারণে নয় মাসে ইয়ান নাইংকে মুক্তি দেওয়া হয়।