নিজেকে ‘প্রেসিডেন্ট’ দাবি ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতার

ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো নিজেকে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2019, 04:54 AM
Updated : 24 Jan 2019, 06:56 AM

বুধবার এ ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশের সমর্থন পেয়েছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

ভেনেজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ২০১৩ সাল থেকে দেশটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এ ঘটনার পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

রয়্টার্স জানিয়েছে, গুয়াইদো নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই ধরনের বিবৃতি দিয়ে কানাডাও তাকে স্বীকৃতি দেয়। ভেনেজুয়েলার প্রতিবেশী ব্রাজিল ও কলম্বিয়াসহ লাতিন আমেরিকার ডানপন্থী সরকারগুলোও তাদের অনুসরণ করে।

বুধবার রাজধানী কারাকাসের পূর্ব দিকে এক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে গুইদো অভিযোগ করে বলেন, মাদুরো ভেনেজুয়েলার ক্ষমতা দখল করে আছেন।

লাখ লাখ লোকের উপস্থিতিতে ভেনেজুয়েলার বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের প্রধান ৩৫ বছর বয়সী গুইদো বলেন, “এই দখলদারিত্ব শেষ করার জন্য আমি রাষ্ট্রপতির সব ক্ষমতা গ্রহণ করার শপথ নিলাম।”

এ সময় তিনি একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করারও প্রতিশ্রুতি দেন।

তার এই ঘোষণার পর ভেনেজুয়েলায় এক অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য রয়টার্সের। বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশটির বিরোধীদল এখন সমান্তরাল সরকার গঠন করতে পারবে, বিদেশি অনেক রাষ্ট্রের কাছে তারা বৈধ সরকার হিসেবে বিবেচিত হলেও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।      

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে মাদুরো বিরোধীরা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে একটি ক্যু করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন। যুক্তরাষ্ট্র ওয়াশিংটন থেকে ভেনেজুয়েলাকে শাসন করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

“অনেক হস্তক্ষেপ হয়েছে আমাদের ওপর, আমাদের মর্যাদা আছে, তাই ওসব গোল্লায় যাক! এই ভূমি রক্ষায় ইচ্ছুক জনগণ এখানে আছে,” সমাজতান্ত্রিক দলের নেতাদের পাশে নিয়ে বলেন মাদুরো।

ভেনেজুয়েলার সরকার পরিবর্তিত হবে কী না, তা সশস্ত্র বাহিনীর আনুগত্যের ওপর নির্ভর করছে। এখন পর্যন্ত তারা মাদুরোর পাশেই আছে, কারণ এ পর্যন্ত তারা মাদুরোবিরোধী দুটি প্রতিবাদ দমন করেছে ও ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গেছে।