১৯৯৭ সালে বেইজিংয়ের শাসনব্যবস্থায় একীভূত হওয়া শহরটির পার্লামেন্টে বুধবার এ সংক্রান্ত বিলটি উঠতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিরোধী আইনপ্রণেতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য না হওয়ায় বিলটি সহজেই অনুমোদিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইনে জনসমক্ষে ও ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননাকারীদের কারাদণ্ডের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ৫০ হাজার হংকং ডলার জরিমানারও (প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মার্কিন ডলার) বিধান রাখা হচ্ছে।
হংকংয়ে এর আগে জাতীয় পতাকা ও প্রতীকের অবমাননায় তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে আইন হয়েছিল।
জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননাবিরোধী নতুন এ আইনের আওতায় স্কুলশিক্ষার্থীরাও থাকছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
হংকংয়ের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্কুল, যেখানে জাতীয় সঙ্গীত ‘মার্চ অব দ্য ভলান্টিয়ার্স’ শেখানো বাধ্যতামূলক, জাতীয় সঙ্গীতের অমর্যাদায় সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপরও আইনটি সমানভাবে কার্যকর হবে।
এর ফলে হংকংয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় নতুন খড়্গ আরোপিত হবে এবং সাধারণ জনগণের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করছেন সমালোচকরা।
“আমরা ধারণা নতুন এ প্রস্তাবে শিক্ষকরাও উদ্বিগ্ন হবেন। কেননা, আমরা যদি সরকারকে কী শেখাতে হবে তা ঠিক করে দেওয়ার আইন বানানোর সুযোগ করে দিই, তাহলে আজকে হয়তো জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে নির্দেশনা আসবে, পরেরবার অন্য কিছু নিয়েও আসতে পারে,” বলেছেন মাধ্যমিক স্কুলের ৩৬ বছর বয়সী শিক্ষক সিমন হাং।
দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনে থাকা হংকং ১৯৯৭ সালের পর থেকে ‘এক দেশ দুই অর্থনীতি’র অধীনে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের মর্যাদা পেয়ে আসছে।