এতে গৃহযুদ্ধের শিকার মানুষদের জন্য ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচি বাধার মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিন ঊর্ধ্বতন ইইউ কূটনীতিক।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর সময়ে বিরোধীদের ওপর আসাদের নিমর্ম হামলার প্রতিবাদে দামেস্কর দূতাবাসগুলো বন্ধ করে দিয়ে ইইউ দেশটির সবচেয়ে কাছের প্রধান নগরী লেবাননের রাজধানীতে তাদের কূটনৈতিক স্থাপনা ব্যবহার করেছে।
কিন্তু দামেস্কে প্রবেশের জন্য ইইউ কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের সিরিয়ায় মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসার বিশেষ অনুমোদন এ মাসের শুরুতেই বাতিল হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কোনো কারণও সিরিয়া সরকার জানায়নি বলে জানিয়েছেন ইইউ কূটনীতিকরা।
এ পদক্ষেপের ফলে ইইউ কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদেরকে এখন দামেস্ক ভ্রমণের জন্য প্রতিবারই সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। যে পক্রিয়া অনেক সময়সাপেক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউ কূটনীতিকরা বলছেন, তাদের ধারণা, দামেস্কে দূতাবাস আবারো খোলার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকার এবং ইইউ’কে বাধ্য করার চেষ্টাতেই সিরিয়া এ পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ, রাশিয়া এবং ইরানি বাহিনীর সহায়তায় সিরিয়ার সেনাবাহিনীই এখন দেশটির বেশির ভাগ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
“কিন্তু সিরিয়ার এ পদক্ষেপ দেশটিতে ইইউ’র মানবিক ত্রাণ সহায়তার জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা” বলে মন্তব্য করেছেন এক ইইউ কূটনীতিক।