২০১৭ সালে এক টুইটে ট্রাম্প সেনাবাহিনীতে হিজড়া সদস্যদের আর ‘গ্রহণ করা বা রাখা হবে না’ বলে ঘোষণা দেন।
তখন তিনি বলেছিলেন, হিজড়া সদস্যদের কারণে সেনাবাহিনীকে ‘বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা খরচ বহন করতে হয়’ এবং তাদের কারণে ‘বিশৃঙ্খলা’ সৃষ্টি হয়।
প্রেসিডেন্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কয়েকটি নিম্ন আদালত স্থাগিতাদেশ জারি করে।
ট্রাম্প প্রশাসন নিম্ন আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যায় এবং ওই স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার আবেদন করে।
ওই আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ৫-৪ ভোটে ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার অনুমতি পান বলে জানায় বিবিসি।
ট্রাম্পের নীতিতে ‘যেসব সেনা সদস্য লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রোপচার করেছেন বা করতে হবে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার’ কথা বলা হয়েছে।
ট্রাম্পের হিজড়া নিষিদ্ধের নীতি পূর্বসূরি বারাক ওবামা প্রশাসনের বিপরীত। ওবামা প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে হিজড়াদের সরাসরি কাজ করার সুযোগ দিয়েছিলেন। এমনকি তাদের ‘লিঙ্গ পরিবর্তন’ অস্ত্রোপচারের সময় ব্যয় বহনে সেনাবাহিনী থেকে তহবিল পাওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশটির সেনাবাহিনীতে বর্তমানে ৮ হাজার ৯৮০ জন হিজড়া সদস্য দায়িত্বে আছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, লিঙ্গ পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্য সেবায় সেনাবাহিনীতে প্রতিবছর ২৪ লাখ থেকে ৮৪ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়।
যদিও প্রতিরক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৭ সালের তথ্যানুযায়ী, ওই খরচ ২২ লাখের বেশি নয়।