ফিলিপিন্সে অপরাধের বয়সসীমা ৯ করার বিরুদ্ধে সিনেটররা

ফিলিপিন্সে কিশোর অপরাধের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৫ থেকে কমিয়ে ৯ বছর করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন সিনেটররা।

>>রয়টার্স
Published : 22 Jan 2019, 04:06 PM
Updated : 22 Jan 2019, 04:06 PM

সোমবার ফিলিপিন্সের পার্লামেন্টের নিম্মকক্ষের ‘জাস্টিস কমিটি’ অপরাধের দায় নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স নয় বছর করার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুর্তেতে ওই প্রস্তাব সমর্থন করেছেন।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং শিশু অধিকার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠন ওই প্রস্তাবের বিরু্দ্ধে আন্দোলন করছে।

তারা বলছে, “যেখানে আমাদের উচিত শিশুদের অপরাধ থেকে রক্ষা করা, যাতে তাদেরকে কেউ অপরাধমূলেক কাজে বাধ্য করতে না পারে। সেখানে আমরা তাদের গায়ে অপরাধীর তকমা লাগিয়ে দিচ্ছি।”

শিশুদের বিরুদ্ধে এটি ‘চরম’ও ‘অন্যায়’ ব্যবস্থা বলে বর্ণনা করে মঙ্গলবার সিনেটররা ওই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

তবে ‘জাস্টিস কমিটি’ তে অনুমোদন পেলেও নিম্নকক্ষে ওই প্রস্তাবের উপর ভোট আয়োজনের আগে সেটিকে আরও কয়েক দফা সংশোধনীর মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

নিম্নকক্ষের ভোটে অনুমোদ পাওয়ার পর সেটি অনুমোদনের জন্য সিনেটে পাঠানো হবে, যেখানে দুর্তেতের সমালোচনাকরীরাই বেশি।

এমন একজন অ্যান্তোনিও ত্রিল্লানেস। তিনি বলেন, “ওই প্রস্তাব পরিবার বিরোধী, যা দরিদ্রদের বিরুদ্ধে যাবে এবং সম্পূর্ণ অন্যায্য। তার উপরে এটা এমন একটি হৃদয়শূন্য ও শেকড়হীন সমাজ ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করবে যেখানে নিজেদের মানুষদের প্রতি কোনো দয়া-মায়া দেখানো হবে না।”

রিসা হনতিভেরোস বলেন, এ পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে দেওয়া ফিলিপিন্সের প্রতিশ্রুতির বিপক্ষে যাবে।

“কেন আমরা সর্বনিম্মর দিকে ফিরে যাচ্ছি, বা সর্বনিম্মের চেয়েও নিচের দিকে? এটা কী সবচেয়ে নিচে নামার প্রতিযোগিতা?”

তবে কেউ কেউ দুর্তেতেকে সমর্থনও করেছেন। সিনেটর প্যানফিলো ল্যাকসন বলেন, যদি নয় বছর খুব কম হয়ে যায়। তবে তিনি একটি ‘নির্দিষ্ট পর্যায়ে অপরাধের বয়স কমিয়ে আনার পক্ষে’।

‘ইউনিসেফ’ এবং ‘সেভ দ্য চিল্ড্রেন’ এর মত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ওই প্রস্তাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে পুলিশের হাতে মাদক পাচারকারী সন্দেহে গুলি করে হত্যার ক্ষমতা তুলে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন দুতের্তে।

বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, মাদকপাচারকারী সন্দেহে দেশটিতে হাজার হাজার মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।