যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ঘোষণা দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট সিনেটর কমলা হ্যারিস।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Jan 2019, 06:43 PM
Updated : 21 Jan 2019, 07:23 PM

এবিসি’র ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ প্রোগামে তিনি বলেছেন, “আমি দেশকে ভালবাসি।” আর তাই দেশের সর্বোচ্চ কল্যাণের জন্য লড়াই করার দায়িত্ববোধ থেকে তিনি লড়বেন বলে জানিয়েছেন।

জ্যামাইকা ও ভারতীয় অভিবাসী দম্পতির কন্যা কমলা হ্যারিস ২০১৬ সালে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে সিনেটর নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি ছিলেন ওই রাজ্যের এটর্নি জেনারেল।

হ্যারিস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন কড়া সমালোচক। ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী দৌড়ে মনোনয়নের লড়াইয়ে যোগ দেওয়া পঞ্চম ডেমোক্র্যাট তিনি।

তার আগে প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে নামার ঘোষণা দিয়েছিলেন ভারতীয়-বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট তুলসি গব্বার্ড। তার সঙ্গে এ দৌড়ে নামার ঘোষণা দেন আরো তিনজন। তারা হচ্ছেন, এলিজাবেথ ওয়ারেন, ক্রিস্টেন গিলিব্র্যান্ড এবং জন ডিলানি।

হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পেলে তিনিই হবেন এ পদের লড়াইয়ে নামা প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান নারী। আর নির্বাচিত হলে তিনি হবেন বারাক ওবামার পর এ পদে দ্বিতীয় আফ্রিকান-আমেরিকান; আর একইসঙ্গে প্রথম এশীয় ও আফ্রিকান-আমেরিকান নারী।

২০২০ সালেই প্রথমবারের মত ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে একাধিক নারী প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে নামতে চলেছেন। নারীদের এ দৌড় এরই মধ্যে রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ৪ নারী জাতীয় পর্যায়ে প্রচার শুরু করেছেন।

হ্যারিস আগামী রোববার প্রচার চালানোর পরিকল্পনা করেছেন ওকল্যান্ড এবং ক্যালিফোর্নিয়ায়।  মিশ্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে সমর্থকদের কাছে “নারী বারাক ওবামা” হিসাবে খ্যাতি পেয়েছেন হ্যারিস।

ছোটবেলায় হ্যারিস যেমন হিন্দুদের মন্দিরে যেতেন, তেমনি আবার কৃষ্ণাঙ্গদের ব্যাপটিস্ট চার্চেও যেতেন। তার নাম ‘কমলা’ এসেছে পদ্মফুলের সংস্কৃত শব্দ কমল থেকে।

হ্যারিসের মা ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। আর বাবা এসেছিলেন জ্যামাইকা থেকে। হ্যারিসের ৭ বছর বয়সের সময়ই তার বাবা-মা’র বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর মায়ের কাছেই বড় হন হ্যারিস ও তার বোন।