সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ময়দান ওয়ারদাকের রাজধানী ‘ময়দান শাহরে’ এই হামলা হয়।
ঘটনাস্থলের ছবিতে বিস্ফোরণের প্রচণ্ড ধাক্কায় পুরো একটি ভবন ধসে পড়েছে দেখা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, “সেনা প্রশিক্ষণ সেন্টারের ভেতর গাড়ি বোমা হামলায় ১২৬ জন নিহত হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। নিহতদের মধ্যে আটজন ‘স্পেশাল কমান্ডো’ রয়েছেন বলেও জানতে পেরেছি।”
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সোমবার সকালে হামলাকারীরা বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি নিয়ে একটি সেনা চেকপোস্ট মাড়িয়ে ন্যাশনাল ডিরেক্টোরেট অব সিকিউরিটির (এনডিএস) প্রশিক্ষণ ক্যাম্পাসে সেটির বিস্ফোরণ ঘটায়।
গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের পরপর দুই বন্দুকধারী সেখানে প্রবেশ করে সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেনারা পাল্টা গুলি চালিয়ে দুই বন্দুকধারীকে হত্যা করে।
হামলাকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি একটি সাঁজোয়া যান নিয়ে এ হামলা চালায় বলেও জানান তিনি।
সাবেক এক প্রাদেশিক কর্মকর্তাও নিহতের সংখ্যা শতাধিক বলে জানিয়েছেন।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, “আমার সঙ্গে এনডিএস কর্মকর্তাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তারা আমাকে বড় ধরণের ওই বিস্ফোরণে এনডিএস’র শতাধিক সদস্য নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে।”
তখন সরকারি কর্মকর্তারা বলেছিলেন, জঙ্গিরা একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পর দুই বন্দুকধারী ঘাঁটিতে প্রবেশ করে হামলা চালায়। হামলায় ২৮ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হওয়ার কথাও তারা জানিয়েছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে শতাধিক নিহত হওয়ার খবরের সত্যতা যাচাই করতে সরকারের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
ময়দান ওয়ারদাকের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য শরিফ হতাক হাসপাতালে ৩৫ আফগান সেনার মৃতদেহ দেখার কথা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “নিহতের সংখ্যা অনেক। অনেক মৃতদেহ কাবুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত অনেককেও রাজধানী কাবুলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সরকার আফগান বাহিনীর মনোবল আরও ভেঙ্গে পড়তে দিতে চাইছে না বলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছে।
“এত শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল যে পুরো একটি ভবন ধসে পড়েছে।”
কাবুলে এনডিএস’র এক কর্মকর্তা অন্তত অর্ধশত সেনা নিহত এবং বহু আহত হওয়ার কথা বলেছেন।
এ হামলার দায় স্বীকার করে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ হামলায় ১৯০ জন নিহত হওয়ার দাবি করেছেন।