রোববার তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্সি, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
গত সপ্তাহে মানবিজে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় চার মার্কিন নাগরিকসহ অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছিল। মানবিজ শহরটি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরীয় কুর্দি বাহিনীগুলোর মিত্র একটি মিলিশিয়া বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে।
এরদোয়ান ট্রাম্পকে বলেছেন, মানবিজের আত্মঘাতী বোমা হামলা ট্রাম্পের সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলকভাবে ঘটানো হয়েছে।
নিজেদের বিবৃতিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্সি আরও বলেছে, দুই নেতা সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে একটি সেইফ জোনের বিষয়ে নিজেদের চিফ অব স্টাফদের মধ্যে আলোচনা ত্বরান্বিত করার বিষয়েও একমত হয়েছেন।
তবে এরদোয়ানের কলের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের বিবরণে ‘মানবিজের নিরাপত্তা দায়িত্ব নিতে তুরস্ক প্রস্তুত’, এ ধরনের প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই, কিন্তু সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে উভয় দেশের নিরাপত্তা চাহিদা পূরণের জন্য আপোষ নিষ্পত্তি অনুসরণের বিষয়ে উভয় নেতা একমত হয়েছেন বলে বলা হয়েছে।
ওই কলের বিষয়ে এক বর্ণনায় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা স্যান্ডার্স বলেছেন, “সিরিয়ায় রয়ে যাওয়া সন্ত্রাসী উপাদানগুলোকে পরাজিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।”
যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে তাদের পারস্পারিক স্বার্থ নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র স্যান্ডার্স।
এর আগে কুর্দিদের ওপর হামলা না চালাতে তুরস্ককে সতর্ক করেছিলেন ট্রাম্প। হামলা চালানো হলে তিনি তুরস্ককে ‘অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছিলেন বলে খবর গণমাধ্যমের।