রাজ্যটিতে সেনা-বিদ্রোহী সংঘর্ষ বাড়ার আশঙ্কার মাঝে শনিবার মিয়ানমারের সরকার-নিয়ন্ত্রিত টিভি নেটওয়ার্ক এ খবর প্রচার করে।
খবরে বলা হয়, রাখাইনের উত্তরের শহর মংডুতে ওয়েত কিয়েইন গ্রামের কাছের সীমান্তরক্ষী ফাঁড়িতে বুধবার আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ) প্রায় ১০ অস্ত্রধারী চোরাগোপ্তা হামলা চালায়।
এ বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আদিবাসী বৌদ্ধদের দল আরাকান আর্মির (এএ) লড়াইয়ের কারণে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাখাইন রাজ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ৪ জানুয়ারি রাখাইনের আরাকান আর্মি (এএ) কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়িতে হামলা করে ১৩ সীমান্ত পুলিশকে হত্যা করে। যার জেরে মিয়ানমার সরকার সেনাবাহিনীকে আরাকান আর্মির এ বিদ্রোহ ‘গুঁড়িয়ে’ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
রাখাইনে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে গত এক দশক ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে আরাকান আর্মি।
২০১৬ সালে রাখাইনে সীমান্তে ফাঁড়িতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ) হামলা ও পুলিশ হত্যার পর রাজ্যের মুসলামান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনা অভিযান শুরু হয়। প্রাণ বাঁচাতে ওই সব এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় গত ডিসেম্বরের রাখাইনের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
শুরুতে বুধবারের হামলা আরাকান আর্মিরা চালিয়েছিল বলে খবর প্রকাশ পায়। কিন্তু পরে মংডু সীমান্ত পুলিশ জানায়, আরাকান আর্মি নয় বরং এআরএসএ ওই হামলা চালিয়েছে।
পুলিশের লেফটেন্যান্ট-কর্নেল তিন হান লিন রয়টার্সকে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আরাকান আর্মির কথা বলে হলেও এখন আমরা এ হামলার পেছনে এআরএসএ ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছি।”
গত শুক্রবার জাতিসংঘের পক্ষ থেকে রাখাইনে লড়াইরত সব পক্ষকে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।