চিলিতে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প: ইউএসজিএস

চিলির উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় উপকূলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2019, 05:40 AM
Updated : 20 Jan 2019, 05:40 AM

স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টা ৩২ মিনিটে বন্দর শহর কোকিমবো থেকে ১৫ দশমিক ছয় কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ভূত্বকের ৫৩ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

এই ভূমিকম্পে আরও দক্ষিণে অবস্থিত রাজধানী সান্তিয়াগোর ভবনগুলোও কেঁপে উঠলেও খুব সামান্য ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ভূমিকম্পের কারণে সুনামি হতে পারে এমন সম্ভাবনায় উদ্বেগের মধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র ভূমিকম্পের পর দ্রুততার সঙ্গে সুনামির সম্ভাবনা খারিজ করে দেয়।   

রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক উপকূলীয় শহর লা সেরেনার কাছে কিছু পুরনো ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ও বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এলাকাটি সান্তিয়াগো থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উত্তরে।

লা সেরেনার এক হোটেলের রিসেপশনিস্ট কামিলা কাস্তিল্লো রয়টার্সকে বলেছেন, “ভূমিকম্পটি প্রবলভাবে অনুভূত হয়েছে, পর্যটকরা খুব শঙ্কিত হয়ে পড়লেও গুরুতর কিছু ঘটেনি।”

‍ভূমিকম্পের পরও নিকটবর্তী লোস পেলামব্রেস কপার খনির কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল বলে জানিয়েছেন চিলির খনিজীবী আন্তোফাগাস্তা প্লেতে।

প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘আগ্নেয় মেখলার’ ওপর অবস্থিত চিলিতে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের দীর্ঘ ইতিহাস আছে। এরমধ্যে ২০১০ সালে দেশটির দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলীয় উপকূলে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প ও তা থেকে সৃষ্ট সুনামিতে উপকূলীয় শহরগুলো বিধ্বস্ত হয়েছিল।

তবে এরপরও কঠোর নির্মাণ নীতির কারণে বিশেষভাবে ভূমিকম্পের সময়ও ভবনগুলো দাঁড়িয়ে থাকার মতো করে নকশা করে তৈরি করায় ধ্বংস ও মৃত্যুর ঘটনা তুলনামূলকভাবে হ্রাস পেয়েছে।