মার্কিন ব্যাংকটির নতুন এ নির্বাহী তার বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানকে ওয়ানএমডিবি তহবিল সংক্রান্ত অভিযোগ থেকে দূরেও সরিয়ে রেখেছেন, জানিয়েছে বিবিসি।
মালয়েশিয়ার ওই বিনিয়োগ তহবিল থেকে কোটি কোটি ডলার লুটপাটের অভিযোগ নিয়ে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে তদন্ত চলছে।
বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে মালয়েশিয়াকে শীর্ষ অর্থনীতির দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ওয়ানএমডিবি তহবিল সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। গোল্ডম্যান স্যাক্স মালয়েশিয়ার এ রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তহবিলের অর্থ সংগ্রহে সাহায্য করেছিল।
মার্কিন বিচার বিভাগের অভিযোগ, ২০১৩ সালে নাজিব বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ওই ডলার আত্মসাৎ করেছিলেন। গোল্ডম্যান এ বন্ড ইস্যুর ব্যবস্থা করে দেয়। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল টমি থমাস।
ব্যাংকটির দুই সাবেক কর্মকর্তা টিম লেইসনার ও রজার এনজি’র বিরুদ্ধে ২৭০ কোটি ডলার অর্থচুরি, কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়া এবং ওয়ানএমডিবির জন্য বন্ড ইস্যুর ব্যবস্থা করা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের ভুল তথ্য দেওয়ারও অভিযোগ আছে।
লেইসনার গোল্ডম্যান স্যাক্সের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি এ ব্যাংক ছেড়ে চলে যান। আর রজার এনজি ২০১৪ সালের মে পর্যন্ত ছিলেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
অর্থপাচারের ষড়যন্ত্র এবং ঘুষবিরোধী আইন ভঙ্গের অভিযোগে পরে যুক্তরাষ্ট্রে দোষ স্বীকার করেন লেইসনার। মালয়েশিয়া গত মাসে গোল্ডম্যান স্যাক্স ও এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগও দায়ের করেছে।
ওয়ানএমডিবি থেকে নিজের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে ৬২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার স্থানান্তরের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়াসহ অন্তত ছয়টি দেশে এই অর্থ কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে।
“এটা খুবই সুস্পষ্ট যে অনেকের হাতেই মালয়েশিয়ার জনগণ প্রতারিত হয়েছে। ওই জালিয়াতিতে লেইসনারের ভূমিকার জন্য আমরা মালয়েশিয়ার জনগণের কাছে ক্ষমতা প্রার্থনা করছি,” বলেছেন সোলোমন।
তার দাবি, লেইসনার ও অন্যরা ইচ্ছাকৃতভাবেই গোল্ডম্যানের অন্য কর্মীদের কাছে চুক্তিটির বেশকিছু অংশ গোপন করেছিল। যেন ওই কর্মীরা চুক্তিটির সেসব অংশ পর্যালোচনা না করতে পারে।
ওয়ানএমডিবি তহবিল সংক্রান্ত এ কেলেঙ্কারির কারণে মর্যাদাহানী হলেও তা ব্যাংকের সঙ্গে গ্রাহকদের সম্পর্কের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেনি বলেও মন্তব্য গোল্ডম্যান সাক্সের এ প্রধান নির্বাহীর।
“খুব কঠিন সময় যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের প্রতিষ্ঠান যেভাবে গ্রাহকদের দিকে নজর ধরে রেখেছে, সেজন্য আমি গর্বিত,” বলেছেন তিনি।