মেঘালয়ে খনিতে আটকা পড়াদের সন্ধানে মিলল মৃতদেহ

মেঘালয়ের একটি কয়লা খনিতে আটকা পড়া ১৫ খনিকর্মীকে উদ্ধারে চলমান অভিযানে এক ব্যক্তির দেহের সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর ডুবুরিরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2019, 08:24 AM
Updated : 17 Jan 2019, 09:07 AM

এক মাসেরও বেশি সময় আগে উদ্ধার অভিযানটি শুরু হলেও গভীর ওই ‘র‌্যাট হোল’ খনিতে চালানো অভিযান এখনো চলছে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী, খবর এনডিটিভির।

পূর্ব জৈন্তা পাহাড়ের ৩৭০ ফুট গভীর ওই খনিটির প্রায় ৬০ ফুট থেকে ২১০ ফুট ভিতরে একটি আন্ডারওয়াটার ‘আরওভি’ ব্যবহার করে ওই দেহটির সন্ধান পাওয়া যায়; শনাক্তের অপেক্ষায় থাকা দেহটি খনির মুখের কাছাকাছি তুলে আনা হয়েছে এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বের করা আনা হবে বলে জানিয়েছে বাহিনীটি।

ভারতীয় নৌবাহিনী, কোল ইন্ডিয়া, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, উড়িষ্যা দমকল এবং বেসরকারি পাম্প নির্মাতা কোম্পানি কৃলস্করের প্রায় ২০০ উদ্ধার কর্মী অভিযানটিতে অংশ নিচ্ছে।

অভিযানে ভারতের ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হাইড্রোলজি ও অন্যান্য বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানকেও যুক্ত করেছে ভারত সরকার।     

ওই ১৫ জন ১৩ ডিসেম্বর সংকীর্ণ ওই গভীর কয়লা খনিটিতে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু নিকটবর্তী একটি নদীর ও সংলগ্ন খনির পানি এসে ওই গহ্বরটিকে ভাসিয়ে দিলে তারা আটকা পড়ে যান।

খনির ওই গভীর অংশ থেকে পানি পাম্প করে এনে বাইরে ফেলতে উদ্ধারকারীদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আটকা পড়া ওই লোকদের বেঁচে থাকার আশা অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে উঠেছে। 

তবে ‘অবিশ্বাস্য ঘটনা যেহেতু ঘটে থাকে’ তাই এই উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। সর্বোচ্চ আদালত দিল্লি ও মেঘালয় সরকারকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আটকাপড়া ওই লোকদের উদ্ধার করতে বলছে। 

এনডিটিভি জানিয়েছে, খনিটির প্রবেশপথ একটি ছোট পাহাড়ের ওপর এবং সে জায়গাটা গাছে ভর্তি। খনিটিতে যেতে হলে ৩০ ফুট চাওড়া একটি পাহাড়ী নদী তিনবার পার হতে হয়। এলাকাটিতে ৮০ থেকে ৯০টি অবৈধ কয়লা খনি আছে এবং এর আশপাশে কোনো জনবসতি নেই।

গত বছরের জুলাইতে থাইল্যান্ডের একটি বন্যাকবলিত গুহায় ১২ কিশোর ও তাদের ফুটবল কোচ আটকা পড়ার পর ঘটনাটি সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু মেঘালয়ের ঘটনাটির ক্ষেত্রে ওই ধরনের কিছু হয়নি। থাই কিশোরদের দ্রুত ও জীবিত উদ্ধার করা গেলেও মেঘালয়ের খনিকর্মীদের উদ্ধার অভিযানের দীর্ঘসূত্রিতায় তাদের বেঁচে থাকায় আশা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।