যৌক্তিক কারণ থাকলে বাড়তে পারে ব্রেক্সিটের সময়সীমা: ইইউ

লন্ডন যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ দেখাতে পারলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা যুক্তরাজ্যের সম্পর্কোচ্ছেদের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।

>>রয়টার্স
Published : 16 Jan 2019, 04:54 PM
Updated : 16 Jan 2019, 05:18 PM

বুধবার এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের মুখপাত্র বলেন, “এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যর কাছ থেকে সময় বাড়ানোর কোনো অুনরোধ আসেনি। যথাযোগ্য কারণে সময় বাড়ানোর অনুরোধ এলে সেক্ষেত্রে ইইউ সদস্যভূক্ত ২৭ দেশের নেতারা ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”

পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী, ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) শেষ সময়সীমা আগামী ২৯ মার্চ। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় বিচ্ছেদ হবে সে বিষয়ে যুক্তরাজ্য এখনো চূড়ান্ত কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে হাউজ অব কমন্সে তার খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন, ভোটে যা চরমভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। ৬৫০ সদস্যের নিম্মকক্ষে চুক্তিটি ৪৩২-২০২ ভোটে হেরেছে।

আধুনিক যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীর তোলা প্রস্তাব হাউজ অব কমন্সে এত বড় ব্যবধানে হারল। যার জেরে বিরোধী লেবার পার্টি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব রেখেছেন। বুধবার ওই প্রস্তাবের উপর ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। মে এরই মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টে ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।

ওদিকে, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান জ্যঁ-ক্লদ জাঙ্কার লন্ডনকে ‘যত দ্রুত সম্ভব তাদের ইচ্ছার কথা পরিষ্কার ভাবে’ জানাতে বলেছেন।

ভোটের ফল দেখে ‘নিদারুণ হতাশ’ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইইউ’র মধ্যস্থতাকারী মাইকেল বার্নিয়ের।

জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল অবশ্য হতাশায় ডুবে থাকা মে কে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমাদের কাছে এখনো আলোচনার সময় আছে। যদিও আমরা এখন প্রধানমন্ত্রী মে কী প্রস্তাব রাখেন সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।”

ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সীমান্ত আছে। মে’র প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তির যে বিষয়গুলো নিয়ে বিরোধীদের আপত্তি ছিল, তার অন্যতম এই সীমান্ত বা ‘ব্যাকস্টপ’। মে বিচ্ছেদের পরও যুক্তরাজ্যের অংশ নর্দান আয়ারল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্যে খুব একটা হেরফের করতে চাননি।

মঙ্গলবারের ভোটের পর আয়ারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা এখন ‘কোনো চুক্তি ছাড়াই’ বিচ্ছেদের প্রস্তুতি গ্রহণ জোরদার করবে।