এই ঘটনার জন্য চার সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থায় চলা আংশিক অচলাবস্থাকে দায় দিয়েছেন তিনি।
সোমবার ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ী দল দ্য ক্লেমসন টাইগার্সকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাদেরকে ৩০০ বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও পিজা দিয়ে আপ্যায়ন করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
“অচলাবস্থার কারণে, বাইরে গিয়ে আমার খরচে আমেরিকান ফাস্ট ফুড অর্ডার করেছি,” সাংবাদিকদের এমনটাই জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বাজেটে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের বরাদ্দ নিয়ে কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউসের মতবিরোধে সৃষ্ট এ অচলাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক কার্যক্রমই বন্ধ হয়ে আছে।
রেকর্ড ২৪ দিন ধরে চলা এ ‘অচলাবস্থায়’ হোয়াইট হাউসের আবাসিক কর্মীসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রায় ৮ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হয় বাধ্যতামূলক ছুটি নয়তো বেতন ছাড়াই কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
দেয়াল নির্মাণের বরাদ্দ ছাড়া কংগ্রেস থেকে আসা কোনো বাজেট বিলে স্বাক্ষর করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডেমোক্রেটরাও দেয়াল নির্মাণে প্রেসিডেন্টের চাওয়া অনুযায়ী ৫৭০ কোটি ডলার বরাদ্দে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
“আমাদের কাছে পিজা আছে, আছে ৩০০ হ্যামবার্গার, অনেক অনেক ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। সবই আমাদের প্রিয় খাবার। আমরা যখন চলে যাবো, তখন কী অবশিষ্ট থাকে তা দেখতে চাই। কারণ, আমার মনে হচ্ছে খুব বেশি কিছু থাকবে না,” সোমবার স্টেট ডাইনিং রুমে উপস্থিত অতিথিদের সামনে বলেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্টের প্রিয় ফাস্ট ফুডের নাম কি, এক সংবাদিকের করা এ প্রশ্নের জবাবে দুই বছর আগে হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হওয়া ট্রাম্প জানান, তিনি সব ধরনের ফাস্ট ফুডই পছন্দ করেন।
“যদি এটি আমেরিকান হয়, আমি পছন্দ করবো। আমি সব আমেরিকান পণ্যই পছন্দ করি,” বলেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছেন, চলমান অচলাবস্থার কারণে হোয়াইট হাউসে এ অতিথিদের আগমণ বাতিল হয়ে যাক, তা চাননি তিনি।
তবে এদিন অতিথি আপ্যায়নে প্রেসিডেন্টের পকেট থেকে কত ডলার খরচ হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে ভাষ্য বিবিসির।
সোমবার নিউ অরলিয়ন্সের এক সম্মেলনে ট্রাম্প কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, প্রতিশ্রুত সীমান্ত দেয়াল নির্মাণের জন্য তার লড়াই অব্যাহত থাকবে।
“যখন মার্কিন জনগণকে নিরাপদে রাখার বিষয়টি সামনে চলে আসে, তখন আমি কিছুতেই, কখনোই পিছু হটি না,” বলেছেন তিনি।
সোমবার পেন্টাগন মেক্সিকো সীমান্তে তাদের সামরিক মিশনের মেয়াদ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর কথাও জানিয়েছে।
সীমান্তের ওই এলাকায় গত বছরের নভেম্বর থেকে কয়েক হাজার সেনাসদস্য মোতায়েন রয়েছে। প্রথমদিকে এ সেনা অবস্থান ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত থাকবে বলা হলেও পরে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এ নিয়ে দুই দফা মেয়াদ বাড়ানো হল।