রোববার শত শত লোকের সামনে অনুষ্ঠান মঞ্চে ৫৩ বছর বয়সী এই মেয়রের ওপর হামলা চালানো হয়। ছুরিকাহত আদামোভিচকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে পাঁচ ঘন্টা ধরে অস্ত্রোপচার করে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
সোমবার পোল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুকাস সুমোস্কি আদামোভিচের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন, জানিয়েছে বিবিসি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের সামনে মেয়রের প্রাণরক্ষার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা জিততে পারিনি।”
গত ২০ বছর ধরে আদামোভিচ গিডানস্ক নগরীর মেয়রের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সোমবার সন্ধ্যায় তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পোল্যান্ডের শহরগুলোতে হাজার হাজার লোক জড়ো হয়েছিল। মেয়র হিসেবে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রজেই দুদা আদামোভিচের ওপর হামলাকে ‘অকল্পনীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। আদামোভিচের শেষকৃত্যের দিনটিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হামলার পরপরই ২৭ বছরের আততায়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কয়েকদিন আগেই সে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছিল। আততায়ী মিডিয়া পাস ব্যবহার করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেছিল বলে ধারণা পুলিশের।
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওতে হামলার পর ওই ব্যক্তিকে অস্ত্রহাতে চিকিৎকার করতে দেখা যায়।
তাকে ‘আদামোভিচ মারা গেছে’ বলে চিৎকার করতে শোনা যায়। কারাগারে সে নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং প্রতিশোধ নিতে এ কাজ করেছে বলে দাবি করছিলো সে।