এ রায় দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিল।
কানাডীয় রবার্ট লয়েড শেলেনবার্গকে ২০১৮ সালে প্রথমে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আপিল আদালত ওই সাজাকে ‘অপরাধের তুলনায় কম শাস্তি’ বলে বর্ণনা করে সোমাবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।
কানাডা মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে চীনের টেলিকম জায়ান্টা ‘হুয়াওয়ে’র সিএফও মেং ওয়ানঝৌকে গ্রেপ্তার করলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়।
হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার কন্যা ৪৬ বছরের মেংকে গ্রেপ্তারের পর ক্ষোভ প্রকাশ করে চীন তার মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
ডিসেম্বরে কানাডার আদালত মেংকে জামিনে মুক্তি দিলেও কানাডা ত্যাগ না করার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি তার বাড়ির সামনে পুলিশী পাহারা এবং তাকে নির্দিষ্ট সময় নিজ বাড়িতে অবস্থান করারও নির্দেশ দিয়েছে।
মেংকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতির মধ্যেই চীনে কানাডীয় শেলেনবার্গকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার এ রায় এল।
২০১৪ সালে চীনে ২২৭ কেজি মেথাফেটামিন পাচারের চক্রান্ত করার অভিযোগে শেলেনবার্গকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চার বছর ধরে বিচারের পর ২০১৮ সালের নভেম্বরে তাকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয় চীনের একটি আদালত।
সোমবার ডালিয়েন উচ্চ আদালত ওই রায় বাতিল করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ১০ দিনের মধ্যে আপিল করার সুযোগ পাবেন শেলেনবার্গ।
সোমবার রায় ঘোষণার আগে শেলেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেন, “আমি মাদক চোরাচালানী নই। আমি একজন পর্যটক হিসেবে চীনে এসেছিলাম।”
কারো কারো মতে, মেংয়ের গ্রেপ্তার নিয়ে দর কষাকষি করতে চীন কানাডার নাগরিক শেলেনবার্গকে ব্যবহার করছে।
যদিও চীন এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, শেলেনবার্গের বিচার প্রক্রিয়া আইন মেনেই হয়েছে।
কানাডা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।