নিউ ইয়র্কের যে কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরিতে (সিএসএইচএল) ওয়াটসন প্রায় চার দশক ধরে কাজ করেছেন সেই প্রতিষ্ঠানই তার সব সম্মানজনক পদ কেড়ে নিয়েছে।
রোববার সিনহুয়া জানায়, এ মাসে টিভি তে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্রে ডিএনএ গবেষণার অগ্রদূত ওয়াটসন ওই জাতিবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, জিনের পার্থক্যের জন্যই সাদা ও কালো মানুষদের বুদ্ধ্যাঙ্কর (আইকিউ) এত তফাত।
ওয়াটসনের এ মন্তব্যের পর কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবরেটরি বলেছে, “একেবারেই কান্ডজ্ঞানহীন, বেপরোয়া মন্তব্য। বিজ্ঞান তার একথা সমর্থন করে না।” এর পরই তারা এক বিবৃতিতে ওয়াটসনের তিনটি সাম্মানজনক পদ ‘চ্যান্সেলর এমেরিটাস’, ‘অলিভার আর গ্রেস প্রফেসর এমেরিটাস’ ও ‘সাম্মানীয় ট্রাস্টি’ কেড়ে নেওয়ার কথা জানায়।
এর আগে ২০০৭ সালেও জাতি-বিদ্বেষী কথা বলার কারণে কোল্ড স্প্রিং হার্বার ল্যাবরেটরি থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল ওয়াটসনকে। ওই সময় ব্রিটিশ একটি পত্রিকাকে তিনি বলেছিলেন, আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষদের বুদ্ধিমত্তা কম হওয়ার প্রবণতা আছে।
এবারে টিভি তে প্রচারিত তথ্যচিত্রে ওয়াটসনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ওই মন্তব্যের জেরে গবেষণাগার থেকে পদত্যাগের পর এখন জাতি নিয়ে তার মত কি? এর জবাবেই ফের ওয়াটসন বলেন, তিনি এখনো নিজের সিদ্ধান্তে অনড়।
আফ্রিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে তার আশা খুবই ক্ষীণ। সবাই সমান হোক এমনটি আশা করেন বললেও ওয়াটসন বলেন, ‘‘যারা কালো মানুষদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তারা জানেন সত্যটা কী।”
কোল্ড স্প্রিং হার্বার ল্যাবরেটরির সঙ্গে ওয়াটসনের সম্পৃক্ততা দীর্ঘদিনের। ১৯৬৮ সালে ল্যাবের ডিরেক্টর হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৪ সালে হন ল্যাবের প্রেসিডেন্ট। তারপর হয়েছিলেন চ্যান্সেলর। তার নামে একটি স্কুলও রয়েছে ল্যাবে।