ব্রেক্সিট ভোট দিতে সন্তানের জন্ম পেছালেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র ব্রেক্সিট চুক্তির উপর ভোট মঙ্গলবারেই; ভোটে অংশ নিতে বিরোধী লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিক সন্তান জন্মদানের তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2019, 03:11 PM
Updated : 14 Jan 2019, 04:39 PM

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন।

ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসনের এমপি টিউলিপ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়ার তারিখ দুই দিন পিছিয়েছেন।

মঙ্গলবার স্বামী ক্রিস পার্সি হুইলচেয়ারে করে তাকে পার্লামেন্টে নিয়ে যাবেন।

৩৬ বছরের টিউলিপ বলেন, “একদিন পর আমার ছেলে পৃথিবীতে আসলেও যদি এ বিশ্বে ইউরোপ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার ভালো সুযোগ আসে, তবে তাই হোক।”

টিউলিপের দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। কন্যার জন্ম দেওয়ার সময় তার গর্ভকালীন জটিলতা দেখা দিয়েছিল।

দ্বিতীয় সন্তান জন্মদানের জন্য আগামী ৪ ফেব্রুয়ারিতে তার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ডায়াবেটিসসহ এবারও কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় হ্যাম্পস্টেডের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের তারিখ এগিয়ে সোমবার বা মঙ্গলবার করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

পরে টিউলিপ চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তারিখ দুই দিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার করার অনুরোধ জানান।

চিকিৎসকরা তাকে এটি করতে নিষেধ করেছিলেন জানিয়ে টিউলিপ বলেন, “রয়্যাল ফ্রি হাসপাতাল তাদের নিয়মকানুন এবং স্বাস্থ্যসেবার মানের বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর। আমার গর্ভাবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং আমি চিকিৎসকদের পরামর্শের বিপরীতে গিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সাধারণত কোনো এমপি’র সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় আসন্ন হলে বা সদ্যজাত সন্তানের কারণে বা অসুস্থতার কারণে কোনো ভোটে অংশ নিতে না পারলে বিরোধী পক্ষেরও একজন সদস্য ভোটদান থেকে বিরত থাকেন, যাকে ‘পেয়ার’ বলা হয়। কারও অনুপস্থিতি যেন ভোটের ফলে প্রভাব ফেলতে না পারে, তাই এই প্রথা।

কিন্তু ২০১৮ সালের জুলাইয়ে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ব্রান্ডন লুইস ওই প্রথা লঙ্ঘন করে ভোট দিয়েছিলেন। যদিও লুইস পরে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘দুর্ঘটনাবশত’ ভোট দিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

কিন্তু অতীত ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টিউলিপ সিদ্দিক ওই ব্যবস্থায় তার আর আস্থা নেই বলে জানান।

ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, জয়-পরাজয়ের ব্যবধান খুব সামান্যই থাকবে উল্লেখ করে টিউলিপ বলেন, তাকে ভোট দিতে যাওয়ার জন্য কেউ চাপ দেয়নি। কিন্তু এটি তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভোট।

তিনি বলেন, “আমি আমার স্বামীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। সে আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে এবং আমার সিদ্ধান্তের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন আছে। আমি আমার বাচ্চার ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে যদি কোনো জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তবে অবশ্যই আমি সবার আগে আমার সন্তানের সুস্থতার কথা ভাবব।”