তুরস্কের অর্থনীতি ‘ধ্বংসের’ হুমকি ট্রাম্পের

মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর সিরিয়ার কুর্দি বাহিনীগুলোকে আক্রমণ করলে ‘তুরস্ককে অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2019, 04:18 AM
Updated : 14 Jan 2019, 05:37 AM

বিবিসি জানায়, রোববার দুটি টুইটে এ হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি ট্রাম্প একথাও বলেছেন যে তিনি চান না কুর্দিরা তুরস্ককে উত্যাক্ত করুক।

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে মার্কিন বাহিনী ও কুর্দি মিলিশিয়ারা একসঙ্গে লড়াই করেছে।

কিন্তু তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) জোটের বৃহত্তম শরিক কুর্দিদের পিপলস প্রটেকশন ইউনিটকে (ওয়াইপিজি) সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই গোষ্ঠীটির প্রতি মার্কিন সমর্থন নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিপেজ তায়িপ এরদোয়ান গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করার শপথ করেছেন।

সিরিয়া থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার শুরু হওয়ার পর কুর্দিদের ওপর তুরস্কের হামলার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে ট্রাম্প দেশটিকে হুঁশিয়ার করলেন। 

কিন্তু তুরস্ক ওয়াইপিজিকে আক্রমণ করলে দেশটির অর্থনীতি কীভাবে বিপর্যয়ের শিকার হতে পারে টুইটে তা পরিষ্কার করেননি ট্রাম্প; শুধু ’২০ মাইলব্যাপী একটি নিরাপদ জোন’ গড়ে তোলা হবে জানিয়েছেন।

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়া সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগ করেছে মন্তব্য করে সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের বাড়ি ফেরানোর এটাই সময় বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত মাসে সিরিয়া থেকে মার্কিন বাহিনীগুলোকে অবিলম্বে প্রত্যাহার শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই মার্কিন সৈন্যরা ওয়াইপিজির নেতৃত্বাধীন এসডিএফ জোটের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৩০ শতাংশ এলাকায় মোতায়েন আছে।

ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন জোট মিত্ররা ক্ষুব্ধ হয়। দেশের ভিতরেও তার এ সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা হয়। রোববার টুইটে করা তার মন্তব্যের পরও ফের সমালোচনা হয়।

সৌদি রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য প্রিন্স তুর্কি আল ফয়সাল বিবিসিকে বলেছেন, ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে ‘নেতিবাচক ফলাফল’ হতে পারে যার সুবিধা তুলবে ইরান, রাশিয়া ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।

অপরদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছেন, অবশিষ্ট আইএস যোদ্ধাদের ওপর ‘নিকটবর্তী ঘাঁটি’ থেকে আক্রমণ চালানো যাবে।

এ বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন মিত্রদের আশ্বস্ত করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে বর্তমানে সৌদি রাজধানী রিয়াদে আছেন।