ব্রেক্সিট চুক্তি পাস না হলে বিপর্যয় নেমে আসবে: মে

ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হলে যুক্তরাজ্যে বিপর্যয় নেমে আসবে বলে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এমপি’দেরকে চুক্তির পক্ষে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 13 Jan 2019, 02:35 PM
Updated : 13 Jan 2019, 02:40 PM

আগামী মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে মে’র ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ডিসেম্বরে ব্রেক্সিট চুক্তিটি নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও নিশ্চিত পরাজয়ের আশঙ্কায় মে ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেন।

বিরোধী লেবার পার্টি ছাড়াও মে’র দল কনজারভেটিভ পার্টির অনেক নেতাই প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিপক্ষে ভোট দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তার চুক্তি মঙ্গলবার প্রয়োজনের চেয়ে সামান্য কম ভোট পাবে বলে আশঙ্কা মে’র।

এ পরিস্থিতিতে ‘দ্য সানডে এক্সপ্রেস’ পত্রিকায় তিনি লিখেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ‍যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের (ব্রেক্সিট) পক্ষে মত দেওয়া জনগণের ইচ্ছাকে এমপি’দের ব্যর্থ হতে দেওয়া উচিত হবে না।

“এমন হলে বিপর্যয় নেমে আসবে এবং আমাদের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে।”

“তাই এ সপ্তাহান্তে পার্লামেন্টের প্রতি আমার বার্তা খুব সাধারণ: রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করার সময় হয়েছে এবং সেটাই করুন যেটা আমাদের দেশের জন্য সঠিক।”

এর আগে শুক্রবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেছিলেন, মে’র চুক্তি অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হলে হয়ত ব্রেক্সিটই হবে না।

বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাজ্য। মঙ্গলবার হাউজ অব কমন্সে এমপি’দের ভোটে ব্রেক্সিট চুক্তিটি পাস হোক বা না হোক আগামী ২৯ মার্চ ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) শেষ সময়সীমা।

নিজের চুক্তি পার্লামেন্টে অনুমোদন না পেলে কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট হবে বলে জানিয়েছিলেন মে।

কিন্তু চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে গত বুধবার এমপিরা একটি সংশোধনী প্রস্তাব পাস করেন। ওই দিন কয়েকঘন্টা যেতে না যেতেই এমপি’রা মঙ্গলবারের ভোটাভুটিতে ‘ব্রেক্সিট চুক্তি’ পাস না করলে চটজলদি নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মে’কে হাজির হওয়ার দাবি জানিয়ে আরেকটি সংশোধনীতে সমর্থন দিয়েছে।

ওই সংশোধনী অনুযায়ী, মঙ্গলবার ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করাতে ব্যর্থ হলে মে’ কে মাত্র ৩ দিনেই ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে হাজির হতে হবে। মে সরকারের পরিকল্পনা ছিল, প্রথমবার ব্যর্থ হলে ২১ দিন সময় নিয়ে আরেকটি পরিকল্পনা নিয়ে আসা।