শনিবার প্যারিস ও অন্যান্য শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলাকালে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে, এ সময় পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করেছে ও কয়েক ডজন প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করেছে; জানিয়েছে বিবিসি।
নবমবারের মতো সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্যারিসের রাস্তায় নামা প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে পুলিশ আর্ক দ্য থিঁয়ুফ এলাকায় জলকামান ব্যবহার করে ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
প্যারিসের স্থানীয় সময় রাত ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৫৬ জন প্রতিবাদকারীকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাদের মধ্যে ১০৮ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাত নেমে আসলেও আগের বিক্ষোভের দিনগুলোর মতো এদিন গাড়ি পোড়ানো বা লুটপাটের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ দিন প্রায় আট হাজার বিক্ষোভকারী প্যারিসের রাস্তায় নেমে এসেছিল বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে। এতে আগের দুই সপ্তাহের ছুটির দিনের তুলনায় প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ফের বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রমাণ হয়। এর আগে ৫ জানুয়ারি প্যারিসে তিন হাজার ৫০০ জন ও ২৯ ডিসেম্বর মাত্র ৮০০ লোক প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিল।
মধ্য নভেম্বরে জ্বালানির কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে সড়কগুলোর সংযোগস্থল ও গোলচত্বরগুলোতে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন শুরু হয়েছিল, কিন্তু দ্রুতই এটি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অর্থনৈতিক নীতিবিরোধী একটি বৃহত্তর আন্দোলনের রূপ নেয়।
আগের বিক্ষোভের দিনগুলোতে প্যারিসের রাস্তায় সংঘর্ষ, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায় এ দিন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। প্রতিবাদকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হাজার হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে রাজধানীর রাস্তায় মোতায়েন করা হয়েছিল। দাঙ্গা পুলিশ নগর কেন্দ্রের কয়েকটি এলাকা বন্ধ করে দিয়েছিল।
দক্ষিণ ফ্রান্সের বোর্দো ও তুলুজ শহরে কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্ট্রাসবুর্গেও কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। অপরদিকে মধ্যাঞ্চলীয় শহর বোর্সে ছয় হাজারেরও বেশি লোক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
সারা দেশে মোট ২৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের মধ্যে ২০১ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিক্ষোভ মোকাবিলার জন্য দেশব্যাপী প্রায় ৮০ হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে মোতায়েন করা হয়েছিল।