ঘটনায় আরো ৪৭ জন আহত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ৯টার এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের আঘাত গুরুতর বলে জানিয়েছে পুলিশ, খবর বিবিসি, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
নিহতদের মধ্যে দুজন দমকল কর্মী ও এক স্পেনীয় নারী রয়েছে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ্রিস্তোফ কাস্তেনেয়া জানিয়েছেন, জরুরি বিভাগের কর্মীরা একটি গ্যাস লিক বন্ধে কাজ করার সময় বিশাল একটি বিস্ফোরণ ঘটে।
প্যারিস অপেরার কাছে জনপ্রিয় একটি পর্যটন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণের ধাক্কা বেশ কয়েকটি সড়ক ছাপিয়েও অনুভূত হয়।
বিস্ফোরণের পর ওই বেকারিতে আগুন ধরে যায়, এর সামনের রাস্তায় ধ্বংস হয়ে উল্টে যাওয়া গাড়ি ও অন্যান্য দোকানের সামনের অংশ বিধ্বস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলের চারপাশে জড়ো হওয়া লোকজন বিস্ফোরণের প্রচণ্ডতায় বিমূঢ় হয়ে পড়েন।
শনিবার উপর্যুপরি নবম সপ্তাহান্তে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদ বিক্ষোভের সম্ভাবনায় প্যারিসসহ ফ্রান্সের অন্যান্য শহরগুলোতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দাঙ্গা পুলিশ প্যারিসের কেন্দ্রীয় অংশে বড় একটি অংশ বন্ধ করে রাখে। এরই মধ্যে ছয় নাম্বার রু দ্যু ত্রেভিজার বন্ধ ওই বেকারিতে বিস্ফোরণটি ঘটে।
তবে এর সঙ্গে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে ধারণা পুলিশের।
ঘটনার সময় কিলিয়ান নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা ঘুমিয়ে ছিলেন। বিস্ফোরণে তার ঘরের জানালা উড়ে যায়। ঘটনার পর ওই ভবনের সব বাসিন্দা নিচে নেমে আসে এবং তিনি চিৎকারের শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।
বিস্ফোরণে একটি নাট্যশালাও ধ্বংস হয়েছে বলে ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল বিএফএমটিভিকে জানিয়েছেন তিনি।