সৈকতের বালি সরিয়ে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে শতক পুরনো জার্মান সাবমেরিন

ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের এক সমুদ্রসৈকতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি জার্মান ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষের দেখা মিলছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2019, 06:28 AM
Updated : 12 Jan 2019, 06:28 AM

কেলে শহরের কাছে রিসোঁ সমুদ্রসৈকতের বালি সরিয়ে ধীরে ধীরে ইউসি-৬১ নামের সাবমেরিনটি মাথা তুলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

জার্মান ডুবোজাহাজটি ১৯১৭ সালে এ উপকূলের কাছেই পরিত্যক্ত হয়েছিল।

বালির নিচ থেকে ধীরে ধীরে উপরে উঠে আসা এ সাবমেরিনটি দেখতে রিসোঁ সৈকতে পর্যটকদের ভিড় বাড়লেও এটি ফের অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন মেয়র বার্নার্ড বাজ।

ডিসেম্বর থেকে মূলত ভাটার সময়েই সাবমেরিনটির দূটি অংশ দেখা যাচ্ছে।  “২-৩ বছর পরপরই এ ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়, নির্ভর করছে স্রোত এবং বালি সরানো বাতাসের ওপর; বাতাসের ধাক্কায় ধ্বংসাবশেষটি ফের হারিয়ে যেতে পারে,” বলেছেন মেয়র বার্নার্ড।

স্থানীয় গাইড ভিনসেন্ট স্মিট অবশ্য বলছেন উল্টোটা। তার মতে, বাতাস এলে বরং সাবমেরিনটির আরও বেশি অংশ উন্মোচিত হবে।

“রিসোঁর সব বাসিন্দাই জানেন এখানে একটি সাবমেরিন আছে, যদিও এর ধ্বংসাবশেষের বেশিরভাগই পলিতে ঢাকা, সেকারণেই অদৃশ্য। সময়ে সময়ে কিছু কিছু অংশ দেখা যায়, যদিও এবারই প্রথম এতখানি উদ্ভাসিত হয়েছে,” বলেছেন ভিনসেন্ট।

ইউ-বোট নামে পরিচিত জার্মান সাবমেরিনগুলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনীর কয়েকশ নৌযানকে ডুবিয়ে দিয়েছিল।

রিসোঁ উপকূলের ইউসি-৬১ ডুবোজাহাজটিও মাইন দিয়ে কিংবা টর্পেডো ছুড়ে ১১টি জাহাজ ডুবিয়েছে বলে ঐতিহাসিকেরা জানিয়েছেন।

শেষ যাত্রায় এটি বেলজিয়ামের জিবুগ থেকে বুলন-সু-মের  ও লু আভার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যেই এটি ডুবে যায়।

ডুবোজাহাজটির ২৬ ক্রু পরে ফরাসী কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করে।