জার্মানি এবং সুইডেনে শুক্রবার ভারি তুষারপাতের কারণে জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে রাস্তা, ট্রেন চলাচল এবং স্কুলও।
জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় বাভারিয়া রাজ্যে রাস্তায় আটকে পড়া গাড়িচালকদের উদ্ধার করেছে রেডক্রস। মিউনিখের কাছে গাছ পড়ে নিহত হয়েছে নয় বছরের এক বালক।
সুইজারল্যান্ডের একটি হোটেলে তুষার ধসে তিনজন আহত হয়েছে। ওদিকে, ঝড়ে সুইডেন এবং নরওয়ের রাস্তা গাড়ি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। বরফে ডুবে গেছে কার এমনকি বাসও।
তুষারপাতে বিপর্যস্ত হয়েছে অস্ট্রিয়াও। সেখানে উদ্ধারকর্মীদেকে বুক পর্যন্ত জমে থাকা বরফ সরিয়ে উদ্ধারকাজ চালাতে হচ্ছে।
প্রতিকূল এ আবহওয়ায় গত সপ্তাহে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনিবার থেকে দুইজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অস্ট্রিয়ার আবহাওয়া সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেছেন, “এমন ভয়াবহ তুষারপাত কেবল প্রতি ৩০ কিংবা ১শ’ বছর পর পরই দেখা যায়।”
অস্ট্রিয়ায় গাছের মাথার ওপর থেকে বরফ সরাতে হেলিকপ্টার পাঠিয়েছে সেনাবাহিনী। তুষার জমে রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ে যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে সেজন্যই এ ব্যবস্থা।
সুইডেনে তুষারঝড়ে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা তছনছ হয়েছে। একটি এলাকায় প্রতি ঘণ্টায় ১১১ মাইল বেগে ঝড় বয়ে গেছে।
নরওয়ের উত্তরাঞ্চলে তুষারপাতের কারণে বৃহস্পতিবার পার্বত্য একটি রাস্তায় আটকা পড়েন গাড়িচালকরা। শুক্রবার সকালে উদ্ধার পাওয়ার আগ পর্যন্ত তীব্র ঠান্ডায় তাদেরকে কাটাতে হয়েছে গাড়ির ভেতরেই।
শুক্রবার তুষারপাতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছে জার্মানির বাভারিয়া। রাজ্যের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে গাছপালা ভেঙে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে অচল হয়েছে জনজীবন। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে মিউনিখে বাতিল হয়ে গেছে ৯০ টি ফ্লাইট। ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরেও ফ্লাইট বিঘ্নিত হয়েছে।