প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি বৃহস্পতিবার সিবিআই প্রধানের পদ থেকে অলোক ভার্মাকে সরিয়ে দেয়।
কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন, কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বিচারপতি এ কে সিক্রি।
কমিটিতে ২-১ ভোটে অলোককে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মল্লিকার্জুন তাকে রাখার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন বলে জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
অলোককে সিবিআই প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর জেনারেল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস।
সিবিআইর উপ পরিচালক রাকেশ আস্থানার সঙ্গে ক্ষমতা নিয়ে সংঘাতের এক পর্যায়ে মোদী সরকার গত বছরের অক্টোবরে অলোক-রাকেশ দুজনকেই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়েছিল।
এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অলোক আদালতের দ্বারস্থ হলে গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট তার পক্ষে রায় দেয়।
তবে পদ ফিরে পেলেও অলোকের বিরুদ্ধে চলমান সরকারি তদন্ত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সিবিআই প্রধান হিসেবে তিনি নীতিগত গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলেও আদালত জানিয়েছিল।
মামলার সময় অলোক বলেছিলেন, তার পদটি দুই বছরের জন্য সুনির্দিষ্ট এবং উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি ছাড়া তাকে আর কেউ সরানোর এখতিয়ারও রাখে না।
অন্যদিকে সরকারি কৌঁসুলিরা বলেছিলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে অলোক ও রাকেশ দুজনকেই ছুটিতে পাঠানো ছাড়া করার কিছুই ছিল না।
উচ্চপদস্থ কমিটির পক্ষ থেকে বিচারপতি সিক্রি বলেন, কেন্দ্রীয় নজরদারি কমিশনের (সিভিসি) প্রতিবেদনে তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত কারণ দেখানো হয়েছে। যার মধ্যে অলোকের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু হওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
কমিটির সিদ্ধান্তের পর মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন নিয়োগ কমিটি অলোককে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি পদে বদলির নির্দেশ জারি করে।
ওইদিন সন্ধ্যায় সিবিআইর অতিরিক্ত পরিচালক এম নাগেশ্বর রাওকে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক করা হয়।
অলোককে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দুই দফা অলোককে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে মোদীর সমালোচনা করে একের পর এক টুইট করে যাচ্ছেন।
এক টুইটে তিনি বলেন, “সিবিআই প্রধানকে সরাতে কেন প্রধানমন্ত্রী এত তাড়াহুড়ো করলেন? কেন তিনি নির্বাচক কমিটির সমনে সিবিআই প্রধানকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলেন না?”
উত্তর: রাফাল
গত বছর অক্টোবরে সিবিআই থেকে সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তা রাকেশের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। এর পেছনে অলোকের হাত ছিল বলে তখন ধারণা করা হয়।
অবশ্য তার আগেই রাকেশ সরকারকে এক চিঠিতে অলোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।