সৌদি তরুণীকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত কবে? জানায়নি অস্ট্রেলিয়া

পরিবারের কাছ থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ডে অবস্থান নেওয়া সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ মুতলাক আল-কুনুনকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো সময়সীমা জানায়নি অস্ট্রেলিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2019, 03:47 PM
Updated : 10 Jan 2019, 07:41 PM

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) রাহাফকে শরণার্থীর মর্যাদা দিয়ে তাকে অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় দেওয়ার সুপারিশ করার পর বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিসে পেইনি থাইল্যান্ড সফর করেন। সেখানেই তিনি বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই।

ব্যাংককে অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে পেইনি বলেন, “ইউএনএইচসিআর এর সুপারিশের প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়া এখন আশ্রয়প্রার্থনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যা যা করা প্রয়োজন সে কাজগুলো করছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে পরেই বিষয়টি নিয়ে একটি ঘোষণা দেওয়া হবে।”

পরিবারের সঙ্গে কুয়েত ভ্রমণে থাকার সময় গত ৪ জানুয়ারি পালিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেন ১৮ বছরের তরুণী রাহাফ। কুয়েত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ব্যাংকক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তার অস্ট্রেলিয়ার ফ্লাইট ধরার কথা ছিল।

কিন্তু ব্যাংকক বিমানবন্দরে সৌদি আরবের একজন কূটনীতিক তার সঙ্গে দেখা করে তার পাসপোর্ট জব্দ করে বলে দাবি রাহাফের। জোর করে কুয়েতে ফেরত পাঠানো হতে পারে- এই আশঙ্কায় নিজের অবস্থার কথা বিশ্ববাসীকে জানাতে রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নেন তিনি।

বিমানবন্দরের হোটেল কক্ষে বসে টুইটারে নিজের ও পাসপোর্টের ছবি দিয়ে রাহাফ বলেন, কুয়েতে পাঠানো হলে তার পরিবার তাকে সেখান থেকে সৌদি আরব নিয়ে গিয়ে হত্যা করবে।

ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করায় পরিবার তার ওপর ক্রুদ্ধ বলেও টুইটারে জানান এই তরুণী। সৌদি আইনে ধর্মত্যাগের শঅস্তি মৃত্যুদণ্ড।

থাইল্যান্ড বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শুরুতে তাকে কুয়েত ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল। সোমবার কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তাকে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাহাফ হোটেল কক্ষ ছাড়তে অস্বীকার করেন।

এরপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তুমুল আলোচনার মধ্যে থাই অভিবাসন পুলিশ রাহাফকে ফেরত না পাঠিয়ে থাইল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি দেয়।

পরে ইউএনএইচসিআরের তত্ত্বাবধানে ব্যাংকক বিমানবন্দর ছাড়েন রাহাফ। বাবা ও ভাই থাইল্যান্ডে পৌঁছালেও তাদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি এই সৌদি তরুণী।