ব্রেক্সিট চুক্তিটি নিয়ে ১৫ জানুয়ারিতেই পার্লামেন্টে এমপি’দের ভোট হওয়ার কথা আছে। করবিন বলেছেন, তিনি চুক্তির বিপক্ষেই ভোট দেবেন। আর পার্লামেন্টে অন্যান্যদের ভোটে চুক্তিটি পাস না হলে নতুন করে একটি জাতীয় নির্বাচন দেওয়াই উচিত বলে মত তার।
তবে মে নির্বাচন না ডাকলে তখন লেবার পার্টি গণভোটের পথে যেতে পারে বলে জানান করবিন।
কিন্তু তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচনটাই অগ্রাধিকার পেতে হবে। কারণ, অচলাবস্থা নিরসনে এটিই একমাত্র পথ। এটি যে কেবল সবচেয়ে বাস্তবিক পন্থা তাই নয় বরং সবচেয়ে গণতান্ত্রিক পন্থাও।” তাই সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ভোটারদেরকেই ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে রায় জানানোর সুযোগ করে দিতে মে’ কে আহ্বান জানাবেন করবিন।
ব্রিটিশ হাউজ অব কমন্সে আগামী সপ্তাহের ব্রেক্সিট ভোটে মে’র চুক্তিটি পাস না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। কারণ, মে’র নিজ দলের কনজারভেটিভ এমপি’রাসহ নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিতে তার মিত্ররাও এ চুক্তির বিরোধী।
বিরোধীদলীয় নেতা করবিন বলেন, “একটি সরকার তার কাজে হাউজ অব কমন্সের স্বীকৃতি পেতে না পারলে সেটি কোনো সরকারই না। সুতরাং, আমি বলব টেরিজা মে: আপনি আপনার চুক্তির ব্যাপারে এতটা আস্থাশীল হয়ে থাকলে নির্বাচন ডাকুন এবং জনগণকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন।”