দুর্নীতিবিরোধী জাতিসংঘ কমিশনকে গুয়াতেমালা ছাড়ার নির্দেশ

প্রেসিডেন্ট জিমি মোরালেসের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরুর পর গুয়াতেমালা জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি একটি কমিশন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2019, 06:14 AM
Updated : 8 Jan 2019, 06:14 AM

দুর্নীতিবিরোধী জাতিসংঘের ওই কমিশনের সদস্যদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সোমবার গুয়াতেমালার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সান্দ্রা জোভেল এমনটাই জানিয়েছেন বলে খবর বিবিসির।

সান্দ্রা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার অভিযান অব্যাহত রাখবেন। কিন্তু তার বিষয়ে তদন্ত নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় এ ইন্টারন্যাশনাল কমিশন এগেইনস্ট ইমপিউনিটি ইন গুয়াতেমালা (সিআইসিআইজি) থেকে তারা সরে আসছেন।

তিন বছর আগের নির্বাচনে জিতে কমেডি অভিনেতা থেকে প্রেসিডেন্ট হওয়া মোরালেস প্রথম দিকে এই কমিশনকে স্বাগতই জানিয়েছিলেন।

দুর্নীতিবিরোধী এই কমিশন গুয়াতেমালার ডজনের ওপর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও নির্বাহীর বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে দেশটির সরকারি কৌঁসুলিদের সহযোগিতা করেছে।

সম্প্রতি সিআইসিআইজি মোরালেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সঙ্গে যুক্ত এমন তহবিলের অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করতে চেয়েছিল।

প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে তদন্তে তাকে দেওয়া রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আলাদা তদন্তও শুরু করেছিল এ কমিশন।

এর পরপরই মোরালেস সিআইসিআইজির গুয়াতেমালায় কাজের অনুমতিপত্র পর্যালোচনার ঘোষণা দিয়েছিলেন।  

তার ওই অবস্থান দেশে-বিদেশে তুমুল সমালোচনার মুখোমুখি হয়। রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় বিক্ষোভও দেখায় গুয়াতেমালার নাগরিকরা।

সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক বৈঠকের পর জোভেল ২০০৬ সালে গুয়াতেমালায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যে গঠিত সিআইসিআইজির অনুমতিপত্র বাতিলের কথা জানান।

তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া এক বিবৃতিতে গুতেরেস এ পদক্ষেপ ‘তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান’ করেন।

জাতিসংঘের এ মহাসচিব বলেন, গুয়াতেমালার সরকারকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলতে হবে।