শির আমন্ত্রণে সস্ত্রীক চীনে কিম

এক বছরের মধ্যে চতুর্থবার চীন সফরে এসেছেন উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2019, 04:47 AM
Updated : 8 Jan 2019, 04:47 AM

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে ৭-১০ জানুয়ারির এ রাষ্ট্রীয় সফরে কিমের সঙ্গে স্ত্রী রি সোল-জু এবং উত্তর কোরিয়ার বেশ ক’জন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থাকছেন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

বিবিসি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্ভাব্য দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের মধ্যস্থতার মধ্যেই উত্তরের শীর্ষ নেতার এ অঘোষিত বেইজিং সফরে আন্তর্জাতিক মহলেরও কড়া নজর রয়েছে।

গত বছরও কিম যতবার চীনে গেছেন, কোনোবারই তার সফরের বিষয়টি আগে থেকে জানানো হয়নি। হয় চীনে নামার পর কিংবা উত্তর কোরিয়ায় ফিরে যাওয়ার পর দুই দেশ কিমের সফরের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে।

সোমবার উত্তরের নেতা সশস্ত্র-সুসজ্জিত ব্যক্তিগত ট্রেনে সস্ত্রীক চড়ে বসার পর থেকেই তার চীন সফর নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়।

মঙ্গলবার কিমের ৩৫তম জন্মদিন বলে দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কিছু গণমাধ্যম জানালেও পিয়ংইয়ং কখনোই তার জন্ম তারিখ বা বয়স নিশ্চিত করেনি। 

চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। দেশটির সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের বাণিজ্য ও সহযোগীতার সম্পর্কও প্রবল।

দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম ছয় বছরে একবারও কিমের চীন সফরের কথা শোনা যায়নি। যদিও গেল বছরেই তিনি তিনবার বেইজিং গিয়েছিলেন।

গত বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে ট্রাম্পের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকের আগেও কিম চীন সফরে গিয়ে শির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন।

এবারের সফরে উত্তরের শীর্ষ নেতা চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের অগ্রগতি ও কৌশল প্রসঙ্গে কথা বলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

বিবিসি বলছে, কিমের চীন সফর তার সঙ্গে ট্রাম্পের দ্বিতীয় বৈঠকের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্টও দুই দেশের দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের স্থান শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন।

রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে ট্রাম্প জানান, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ‘ভাল সংলাপ চলছে’। পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকছে বলেও ধারণা দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে বছরের শুরুতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে কিম পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানালেও যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা তু্লে না নেয় তাহলে দিক বদলানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।