গ্যাবনে সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টা ‘ব্যর্থ’

মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবনে একটি সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়ার দাবি করেছে দেশটির সরকার।

>>রয়টার্স
Published : 7 Jan 2019, 01:17 PM
Updated : 8 Jan 2019, 05:28 AM

সোমবার ভোরে সেনাবাহিনীর একটি অংশ গ্যাবনের রাষ্ট্রীয় বেতার কেন্দ্রের দখল নিয়ে প্রেসিডেন্ট আলি বনগোর প্রতি তাদের অসন্তোষ ও অসমর্থন ঘোষণা করে।

কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয় বলে জানান সরকারের এক মুখপাত্র।

তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “যে পাঁচ সেনা কর্মকর্তা রাজধানী লিব্রভিলে সরকারি বেতার কেন্দ্রের দখল নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পঞ্চম কর্মকর্তা পালিয়ে গেছেন, তাকে খোঁজা হচ্ছে।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, পালিয়ে যাওয়া সেনা কর্মকর্তাই অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী।

বেতার কেন্দ্র দখলের পর সেনা কর্মকর্তারা অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিলে তাদের সমর্থনে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ রাস্তায় নেমে বিজয় উল্লাস করছিল। প্রেসিডেন্টের অনুগত সেনারা টিয়ার গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে রয়টার্সকে জানান এক প্রত্যক্ষদর্শী।

অভ্যুত্থান চেষ্টার পর থেকেই রাজধানীর আকাশে হেলিকপ্টার ঘুরতে দেখা যাচ্ছে, যদিও পুরো লিব্রভিল থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সময় ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে বেতারে নিজেকে ‘রিপাবলিকান গার্ড’র একজন কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেওয়া লেফ্টেন্যান্ট কেলি অনডো ওবিয়াং বলেন, বনগো মরক্কো থেকে দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। স্ট্রোকের পর চিকিৎসার জন্য তিনি মরক্কোতেই আছেন।

“প্রেসিডেন্টের শরীরের যে অবস্থা তাতে তিনি আর কখনো দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন কিনা তা নিয়ে সেনাবাহিনীর সন্দেহ আছে।”

গত অক্টোবরে সৌদি আরব সফরের সময় স্ট্রোক করেন বনগো (৫৯)। পরের মাস থেকে মরক্কোতে তার চিকিৎসা চলছে।

মুখ বেঁকে যাওয়ায় বনগো এখনও ঠিকমত কথা বলতে পারেন না। তিনি তার ডান হাতও নাড়াতে পারছেন না। তার আর কখনো হাঁটতে পারা নিয়েও সন্দেহ আছে।

গত অর্ধ শতাব্দী ধরে তেল-সমৃদ্ধ মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবন শাসন করছে বনগো পরিবার।

২০০৯ সালে বাবা ওমর বনগোর মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন আলি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে জয়ী হন তিনি। যদিও ওই নির্বাচনে বিরোধীদলগুলো সহিংস বিক্ষোভ করেছে, ভোট কারচুপিরও অভিযোগ আছে।

গত কয়েক বছরে তেলের দামের নিম্নগতি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতির কারণে দেশটিতে রাজস্ব সংকট দেখা দিয়েছে। যা জনগণের মধ্যে অসন্তোষের বীজ বপণ করেছে।