নিকোলোস মাদুরোর এক সময়কার এ সহযোগী ২০১৬ সালেও প্রেসিডেন্টের হয়ে বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের শক্তি খর্বে ভূমিকা রেখেছিলেন।
সেরপা বলছেন, গত বছর যে নির্বাচনে মাদুরো জয়ী হয়েছেন তা ‘অবাধ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ হয়নি। এর প্রতিবাদেই তিনি দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে এসেছেন।
বিরোধী দলগুলোর বয়কটের মধ্যে হওয়া ওই নির্বাচনে জয়ী মাদুরো চলতি সপ্তাহেই দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসছেন, জানিয়েছে বিবিসি।
ভেনেজুয়েলার এ সমাজতান্ত্রিক ঘরানার প্রেসিডেন্ট পদ্ধতিগতভাবে সুপ্রিম কোর্টকে নিজের কার্যসিদ্ধিতে ব্যবহার করছেন বলেও সেরপার অভিযোগ।
রোববার ফ্লোরিডার ইভিটিভি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলার সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে ‘নির্বাহী বিভাগের লেজুড়’।
“কিছু কিছু মামলার রায় কী হবে, প্রেসিডেন্টই তা ঠিক করে বিচারকদের জানিয়ে দেন,” মন্তব্য তার।
পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসার পরিকল্পনার কারণেই ২০১৮-র নির্বাচন নিয়ে জনসম্মুখে প্রতিবাদ জানাননি বলেও দাবি সেরপার।
সাবেক এ বিচারকের পালানোর খবর স্বীকার করেছে ভেনেজুয়েলার সুপ্রিম কোর্টও। তবে তারা বলছে, মাদুরোর ক্ষমতায় বসার প্রতিবাদে নয়, সাবেক এ বিচারক তার বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির বিচার এড়াতেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনে মাদুরোবিরোধীরা অভাবিত জয় পেলে ভেনেজুয়েলার কংগ্রেস সোশালিস্ট পার্টির হাতছাড়া হয়ে যায়।
সেরপা সেসময় প্রেসিডেন্টের হয়ে কংগ্রেসের ক্ষমতা খর্বের পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
গত বছরের নির্বাচনে বিজয়ী মাদুরো বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছেন। ২০১৮-র মে মাসে অনুষ্ঠিত ওই ভোটের প্রতিবাদে ১৪টি দেশ কারাকাস থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের ফিরিয়ে এনেছিল; যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর দিয়েছিল নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা।
ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য সংকটের কারণে গত কয়েক বছরে লাখ লাখ নাগরিক ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।