পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীকে ইরান তাদের নিরাপত্তায় হুমকি বলেই মনে করে। একারণে এর পাল্টা ব্যবস্থায় ইরানের নৌ বাহিনী এখন তাদের পতাকাবাহী রণতরী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমার কাছে যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে।
মার্চ মাসে ইরানি নববর্ষের শুরুতেই নৌবহর আটলান্টিকে যাত্রা শুরু করবে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন ইরানের নৌবাহিনীর উপ-কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল তৌরজ হাসানি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘ইরনা’য় হাসানি বলেন, “আটলান্টিক মহাসাগর অনেক দূর। তাই ইরানি নৌবহরের এ অভিযানে ৫ মাস সময় লেগে যেতে পারে।”
তিনি জানান, নৌবহরের যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে আছে নতুন তৈরি ডেস্ট্রয়ার শাহান্দ। এ রণতরীতে হেলিকপ্টার ওড়ার ডেক আছে। বিমান বিধ্বংসী এবং জাহাজ বিধ্বংসী অস্ত্রসহ ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও আছে এতে। তাছাড়া এতে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারেরও ব্যবস্থা আছে।
হাসানির আগে গত মাসেও ইরানের এক সামরিক কর্মকর্তা আটলান্টিকে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমার কাছে যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন।
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে ইরানের জাহাজগুলোর সুরক্ষায় ইরান সম্প্রতি কয়েক মাসে ভারত মহাসাগর এবং পারস্য উপসাগরেও উপস্থিতি বাড়িয়েছে।
ডিসেম্বরে হাসানি ভেনেজুয়েলাতেও ইরান তিনটি জাহাজ পাঠাতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।