রিগানের নৌমন্ত্রীকে প্রতিরক্ষায় ভাবছেন ট্রাম্প: নিউ ইয়র্ক টাইমস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাবেক ডেমোক্র্যাট সিনেটর জেমস ওয়েবকে পরবর্তী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে ভাবছেন বলে জানিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2019, 08:49 AM
Updated : 4 Jan 2019, 10:16 AM

ওয়েব এর আগে সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান প্রশাসনের নৌ-অধিদপ্তরের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেওয়া এ সিনেটর ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট পার্টির মনোনয়ন লড়াইয়েও ছিলেন।

জেনারেল জেমস ম্যাটিসের জায়গায় ভার্জিনিয়ার সাবেক এ সিনেটরই এখন ট্রাম্পের পছন্দের তালিকায় এগিয়ে আছেন বলে ধারণা নিউ ইয়র্ক টাইমসের।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে রিপাবলিকানদের মধ্যে লিন্ডসে গ্রাহাম, টম কটন ও জিম ট্যালেন্টের নামও শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।

ওয়েবকে পরবর্তী প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হচ্ছে কিনা এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি হোয়াইট হাউস। মন্তব্য করতে রাজি হননি ১০টি বইয়ের লেখক, সাংবাদিকতা ও চলচ্চিত্র নির্মাণে অ্যামি পুরস্কারজয়ী ৭২ বছর বয়সী ওয়েবও।

সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণায় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মতবিরোধে গত বছরের শেষ দিকে জেনারেল জেমস ম্যাটিস সরে দাঁড়ানোর পর তার সহকারী প্যাট্রিক শানাহানকে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী করেছিলেন ট্রাম্প।

শিগগিরই তার নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নাম ঘোষণা করারও কথা রয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও হোয়াইট হাউসের ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফ মিক মুলভানে এরই মধ্যে ওয়েবের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

ওই সাক্ষাতের পর থেকেই রিগান প্রশাসনের নৌমন্ত্রীকেই প্রতিরক্ষায় বসানো হচ্ছে বলে ওয়াশিংটনে জোর গুঞ্জন চলছে।

“জেমস ম্যাটিসের বদলে যে কট্টরপন্থি রিপাবলিকানদের কথা বাতাসে ভাসছিল তাদেরকে টপকে যেতে পারেন ওয়েব,” বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কেবল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামলানোই নয়; ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টিও ট্রাম্প প্রশাসনের বিবেচনায় থাকতে পারে।

চলতি মাস থেকে প্রতিনিধি পরিষদ ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় তাদের সঙ্গে সেতুবন্ধনেও ওয়েব ভূমিকা রাখতে পারবেন, এ ভাবনা থেকেও ওয়েবের নামটি এগিয়ে থাকতে পারে, ধারণা তাদের।