তবে প্রতিনিধি পরিষদের এই উদ্যোগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ভিটো’ দেওয়ার বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত বলে জানায় বিবিসি।
কারণ ট্রাম্প আগেই বলে দিয়েছেন, তার প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের জন্য বাজেট বরাদ্দে তহবিল নেই এমন কোনো বিল তিনি সাক্ষর করবেন না।
ট্রাম্পের ওই হুমকি উপেক্ষা করেই বৃহস্পতিবার নতুন প্রতিনিধি পরিষদের প্রথম দিন সীমান্ত প্রাচীরের জন্য তহবিল না রেখে নতুন বাজেট বরাদ্দ বিল উত্থাপন এবং তা অনুমোদন পায়।
সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের জন্য ট্রাম্প পাঁচশ কোটি মার্কিন ডলার দাবি করেছেন।
হাউজ স্পিকার ডেমোক্র্যাটিক নেতা ন্যান্সি পেলোসি স্পষ্ট করেই বলেছেন, নতুন বিলে সীমান্ত প্রাচীরের জন্য কোনো তহবিল নেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, প্রতিনিধি পরিষদে অনুমোদন পাওয়া দুই স্তরের ওই বিলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অধিদপ্তরের ব্যয় নির্বাহের জন্য যে হারে তহবিল দেওয়া হতো আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেভাবেই দিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়।
এছাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার জন্য ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার এবং সীমান্তে অন্যান্য নিরাপত্তা প্রয়োজনে তিন কোটি মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় স্তরে কৃষি, স্বরাষ্ট্র, পরিবহন, বাণিজ্য এবং বিচার বিভাগের মত যেসব অধিদপ্তর তহবিলের অভাবে অচল হয়ে পড়েছে সেগুলোর জন্য চলমান অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত ( আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর) তহবিলের যোগান দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানায়, রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত উচ্চকক্ষে নতুন বিলের কোনো ভবিষ্যত নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকার সচল করতে ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের এই উদ্যোগ ‘সম্পূর্ণ নিষ্ফল’ হবে এবং রাজনৈতিক ভাবে ‘নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য’ তারা এটা করেছে বলে মনে করেন সিনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল।
তিনি বলেন, হয়তো প্রতিনিধি পরিষদ থেকে পাঠানো খসড়া বিলের উপর সিনেটে ভোটের আয়োজনই হবে না।
“সেখানে এমন কোনো বিকল্প প্রস্তাব রাখা হয়নি যেটা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সমর্থন না করে পারবেন না।”
গত ডিসেম্বরে বাজেট বিলের বিষয়ে কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্ট একমত হতে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার আংশিকভাবে অচল হয়ে পড়ে।
সরকার সচল করার জন্য প্রাথমিকভাবে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সদ্য সাবেক প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল অনুমোদন করা হয়েছিল; যে বিলে ট্রাম্পের দাবি করা পাঁচশ বিলিয়ন ডলারের কথাও ছিল।
কিন্তু ১০০ সদস্যের সিনেটে বিলটি প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়।
নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের সরিয়ে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নেয় ডেমোক্র্যাটিকরা।
বৃহস্পতিবার নতুন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা শপথ নেন।