মেংকে গ্রেপ্তারের পর ‘১৩ কানাডীয়কে আটক করে চীন’

ডিসেম্বরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চীন মোট ১৩ কানাডীয়কে আটক করেছে বলে জানিয়েছে অটোয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2019, 06:51 AM
Updated : 4 Jan 2019, 06:51 AM

যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝৌকে গ্রেপ্তারের পর থেকে এদের আটক করা হয়, বৃহস্পতিবার কানাডার সরকার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় বলে খবর রয়টার্সের।

আটক ১৩ জনের মধ্যে বেইজিং এরই মধ্যে অন্তত ৮ জনকে ছেড়ে দিয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গতমাসের শুরুর দিকে ভ্যাঙ্কুবারে বিমান বদলানোর সময় কানাডীয় কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেপ্তার হন হুয়াওয়ের সিএফও মেং।

তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরান নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বহুজাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভুল তথ্য দিয়ে প্রতারিত করার অভিযোগ আছে।

হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে মেং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বেইজিং এ গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চীনা এ নাগরিককে দ্রুত মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানায়; নাহলে অটোয়াকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়।

কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আদালত এক কোটি কানাডিয়ান ডলারের বিনিময়ে মেংয়ের জামিন মঞ্জুর করলেও তাকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।

৪৬ বছর বয়সী এ নারীকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। 

মেংকে গ্রেপ্তারের পর থেকে চীনে তিন কানাডীয় নাগরিকের আটক হওয়ার খবর দিয়েছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।

সাবেক কূটনীতিক মাইকেল করভিগ, ব্যবসায়ী স্পেভর ও শিক্ষক সারাহ ম্যাকাইভারের মধ্যে শেষের জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

বেইজিং ও অটোয়া এসব আটকের সঙ্গে হুয়াওয়ে সিএফওর গ্রেপ্তারকাণ্ডের কোনো সংযোগ নেই বলে দাবি করলেও পশ্চিমা কূটনীতিকরা বলছেন, এসব আটক আদতে ‘ইটের বদলে পাটকেল’।

বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে কানাডা যে ১৩ নাগরিকের আটকের কথা জানিয়েছে তার মধ্যে করভিগ, স্পেভর ও ম্যাকাইভারের নামও আছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন।

ম্যাকাইভার কানাডায় ফিরে এলেও করভিগ ও স্পেভর এখনও চীনা কর্তৃপক্ষের হেফাজতে। গত মাসের মাঝামাঝি দেশটিতে কানাডার কনসুলার কর্মকর্তারা এ দুজনের সঙ্গে দেখাও করেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

চীনে বিভিন্ন অভিযোগে শ’ দুয়েক কানাডীয়র বিচার চলছে বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে এ বার্তা সংস্থা।

“এ সংখ্যা মোটামুটি মানানসই।”

যুক্তরাষ্ট্রে বিচারাধীন কানাডীয়র সংখ্যা প্রায় ৯০০ বলেও জানিয়েছেন তিনি।