সৈন্য প্রত্যাহার করা হলেও সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি যোদ্ধাদের রক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
বুধবার হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার এক বৈঠক চলাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গত মাসে সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পরিকল্পনা ঘোষণা করলেও এদিন ট্রাম্প সৈন্য প্রত্যাহারের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাননি।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের পরামর্শের বিরুদ্ধে গিয়ে, আইনপ্রণেতা ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র যারা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নিচ্ছে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণাটি দিয়েছেন তিনি।
তার এই সিদ্ধান্তের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস পদত্যাগ করেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কখনোই সিরিয়া থেকে দুই হাজার মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য কথিত চার মাসের সময়সীমা বেঁধে দেননি।
“আমরা বের হয়ে আসছি এবং বুদ্ধিমানের মতো বের হয়ে আসবো। আমি কখনোই বলিনি আমরা কালকে বের হয়ে আসছি,” সিরিয়ায় মার্কিন সৈন্যরা কতোদিন অবস্থান করবে তা নির্দিষ্টভাবে না জানিয়ে একথা বলেন তিনি।
গত মাসের ঘোষণার পর সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ট্রাম্প সিরিয়া থেকে তাড়াহুড়া করে সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয় থেকে পিছিয়ে এসেছেন বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, এর বদলে সৈন্য প্রত্যাহার ধীর গতিতে হবে বলে জোর দিচ্ছেন তিনি।
সোমবার এক টুইটে তিনি বলেছেন, “আমরা ধীরে ধীরে আমাদের সৈন্যদের তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য বাসায় ফিরিয়ে আনবো।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন কুর্দিরা ইরানের কাছে তেল বিক্রি করায় তিনি অসন্তুষ্ট, কিন্তু তিনি তাদের রক্ষা করতে চান।
“অল্প পরিমাণ তেল তারা ইরানের কাছে বিক্রি করছে, এটি আমার পছন্দ নয়; আমরা তাদের ইরানের কাছে বিক্রি না করতে বলেছি। এতে আমি খুশি না।
“তবু আমরা কুর্দিদের রক্ষা করতে চাই। আমরা কুর্দিদের রক্ষা করতে চাই, কিন্তু আমি চিরদিনের জন্য সিরিয়ায় থাকতে চাই না। ওটি মরুভূমি। এবং ওটি মৃত্যু,” বলেছেন তিনি।