তাইওয়ান স্বশাসনে চললেও তাদেরকে ‘এক দেশ দুই ব্যবস্থা’র ভিত্তিতে শান্তিপূর্ণ পন্থায় এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আর এ পুনরেকত্রীকরণ নিশ্চিত করতে চীনের শক্তি প্রয়োগেরও অধিকার আছে বলে জানিয়েছেন শি।
বুধবার তাইওয়ান নীতির ৪০ বছর পূর্তিতে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে দেওয়া এক ভাষণে নতুন করে কথাগুলো বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
তাইওয়ানকে চীন তাদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবেই মনে করে এবং এক্ষেত্রে তারা ‘এক দেশ, দুই নীতি’ মেনে চলে। ওদিকে, তাইওয়ানের নিজস্ব সরকার ব্যবস্থা আছে এবং তারা নিজেদের স্বাধীন দেশ বলে মনে করেন। কিন্তু চীন থেকে তারা কখনো আনিুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেনি।
মঙ্গলবারের ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি বলেন, “উভয় পক্ষ একই চীনা পরিবারের অংশ। তাই তাইওয়ানের স্বাধীনতা ইতিহাসের বিপরীত স্রোত, যেটা কখনোই কূল খুঁজে পাবে না।”
“তাইওয়ানের জনগণকে অবশ্যই বুঝতে হবে, স্বাধীনতা তাদের জন্য শুধু কষ্টই বয়ে নিয়ে আসবে। তাইওয়ানের স্বাধীনতা নিয়ে কোনো ধরনের উদ্যোগ বেইজিং কখনো মেনে নেবে না।”
এর জবাবে বুধবার তাইওয়ান প্রেসিডেন্ট সাই-ইং-ওয়েন বলেন, চীনের সঙ্গে পুনরায় একত্রীকরণের বিষয়ে বেইজিং যে প্রস্তাব দিয়েছে তাইওয়ান তা কখনো মেনে নেবে না।
তিনি বলেন,“আমি আবারো বলছি, তাইওয়ান কখনোই ‘এক দেশ, দুই নীতি’ মেনে নেবে না। তাইওয়ানের বেশিরভাগ মানুষও ‘এক দেশ, দুই নীতি’র ঘোর বিরোধী।”
চীনের ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে তাইওয়ান সরকার অভ্যন্তরীন বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার পাবে; অনেকটা হংকংয়ের শাসন ব্যবস্থার মত।